কুমিল্লার দাউদকান্দিতে দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-কচুয়া সড়কে উপজেলার শায়েস্তানগরের কাছে বাসের চাপায় ট্রাক্টরের দুই শ্রমিক নিহত হন। আরেকটি দুর্ঘটনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একই উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বাসের চাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে একজন শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন।
ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপপরিদর্শক মো. হেলাল এবং ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ।
জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে শায়েস্তানগরের কাছে একটি ইটবোঝাই ট্রাক্টরকে ঢাকাগামী আল-আরাফা পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে ট্রাক্টরটি উল্টে ইটভাটা শ্রমিক উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বোরহান (২৮) এবং জামালপুর সদর উপজেলার সৈয়দ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩২) নিহত হন।
উপপরিদর্শক হেলাল বলেন, মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো আটক করেছে পুলিশ।’
অপরদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দৌলতপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে ঢাকাগামী অনির্বাণ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ডলি আক্তার (৩০) নামে এক যাত্রী মারা যান। আহত যাত্রী ও চালকদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুরের দিকে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, জিয়ানা আক্তার (১১) ও জাহানারা বেগম (৬০)। এই দুর্ঘটনায় নিহতরা সবাই পাশের বাসরা গ্রামের বাসিন্দা।
হাইওয়ে পুলিশের ওসি কৌশিক বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। নিহত ডলির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। কিন্তু বাকি দুজন মারা গেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় স্বজনরা আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে শুনেছি। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো পুলিশ হেফাজতে আছে।
সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমএইচএস