ডিম ছেড়ে দেওয়া ইলিশ নিয়ে চলছে গবেষণা কার্যক্রম
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১
ছবি : বাংলাদেশের খবর
প্রজননের জন্য সাগর থেকে নদীতে আসা ইলিশ নিয়ে প্রতিবছরই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আর এই কাজটি করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের গবেষকরা। এবারও ডিম ছেড়ে দেওয়া ইলিশের পরিমাপ করেছেন তারা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৮টায় সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন মাছের আড়তে ইলিশ পরিমাপ করেন মৎস্যবিজ্ঞানী ও একজন গবেষণা সহকারী।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন চাঁদপুর জেলার প্রায় ৭০ কিলোমিটার অংশে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। রোববার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে।
জেলেরা পদ্মা-মেঘনা থেকে ইলিশ ধরে সরাসরি নিয়ে আসেন হরিণা ফেরিঘাট। যে কারণে ইলিশের প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য এই ঘাটকে উপযুক্ত স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছেন মৎস্য গবেষকরা। জেলেদের ধরে আনা ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের ইলিশের দৈর্ঘ্য, প্রস্ত, ওজন পরিমাপ করেন তারা। কী পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে, ডিমসহ কী পরিমান ধরা পড়ছে, ছোট সাইজের ইলিশ ডিম ছাড়ছে কি না- তাও জরিপ করা হচ্ছে।
হরিণা মাছঘাটে প্রায় এক ঘণ্টা ইলিশের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের মৎস্য বিজ্ঞানী রিজভী কায়সার ও গবেষণা সহকারী আব্দুস সালাম।
রিজভী কায়সার বলেন, চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, হরিণা ফেরিঘাট ও হাইমচরের কয়েকটি আড়তে ইলিশের অবস্থান সম্পর্কে জরিপ করা হচ্ছে। আমাদের এই কাজের ফলাফল সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার অনুমতি নেই। তবে এই কার্যক্রমের ফলাফল আমাদের প্রধান মৎস্য বিজ্ঞানী কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠাবেন। এটি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়।
এটিআর