ছবি : প্রতিনিধি
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। গত তিনদিন পর তাপমাত্রা নেমেছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন এই তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি থাকলেও আজ ভোরে কুয়াশা ভেদ করে দেখা গেছে ভোরের সূর্য। বেলা বাড়তে থাকলেও সূর্যের আলোয় তেমন উষ্ণতা মিলছে না। হিমেল হাওয়ায় অনুভূত হচ্ছে শীত। শীত বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো কাপড়ের দোকানে বেশ ভিড় বেড়েছে। এছাড়াও শীত নিবারণের জন্য বেশ কিছু এলাকায় পুরোনো কাপড়, কাগজ ও খড়কুটো জ্বালাতে দেখা যায় নিম্ন আয়ের মানুষদের। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে।
শীতের কারণে বেড়ে চলে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জ্বর, সর্দি, কাঁশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে জেলার হাসপাতালগুলোতে ভিড় দেখা যায় রোগীদের। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কালাম, দেলোয়ারসহ কয়েকজন ভ্যানচালক জানান, ‘শীত বাড়ছেই। প্রকট ঠান্ডার কারণে ভ্যান চালানো কষ্টকর। হাত-পা অবশ হয়ে আসে। আর শীতের কারণে ভ্যানে সহজে কেউ চড়তে চান না। যার কারণে আগের থেকে ইনকাম কমে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে অসচ্ছল অবস্থায় দিন পার করছি।’
দিনমজুর ও পাথর শ্রমিকরা জানান, ‘ভোরে কনকনে শীতের কারণে কাজ করতে গিয়ে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছি। কিন্তু কি করব? কাজ তো করতে হবে। তাই উপায় না পেয়ে কাজে যেতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, ‘গতদিনের চেয়ে আজ তাপমাত্রা অনেকটায় কমেছে। কুয়াশা থাকলেও দেখা গেছে সূর্য। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
এসকে দোয়েল/এমবি/এমআই