নাফ নদের মিয়ানমার অংশে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আরাকান আর্মি। অপরদিকে, বাংলাদেশি জেলে নৌকাসহ কোনো ধরনের নৌযান নাফ নদের দিকে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আরাকান আর্মি নাফ নদে সে দেশের জলসীমায় সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাই আমরাও টেকনাফের ফিশিং ট্রলার মালিকদেরকে অবগত করেছি। নাফ নদ সীমান্ত এ মুহূর্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সেখানে কোনো ট্রলার না যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের জোরদার টহল রয়েছে।’
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের চট্টগ্রাম মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সোয়াইব বিকাশ বলেন, ‘নাফ নদের মিয়ানমার অংশে আরাকান আর্মি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। বাংলাদেশ জলসীমানায় আমরা কাউকে ঢুকতে দেব না। সেটা যে পক্ষই হোক না কেন। জালিয়ার দ্বীপ, সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত নাফনদ-সাগরে আমাদের টহল জোরদার রয়েছে। পাশাপাশি জেলেদের জলসীমা অতিক্রম না করতে বলা হচ্ছে।’
টেকনাফ-২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিকনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, ‘সীমান্তে যেকোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ ও নিরাপত্তায় নাফ নদের পাশাপাশি স্থলভাগে বিজিবির সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’
ইব্রাহীম মাহমুদ/এমজে