আজ ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে ময়মনসিংহ মুক্ত হয়। একই দিন মুক্ত হয় মুক্তাগাছা উপজেলা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে নগরীর ছোটবাজার মুক্তমঞ্চে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার হোসেন।
ছোটবাজার মুক্তমঞ্চ থেকে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে একটি বিজয় র্যালি বের হয়ে নগরীর টাউনহলে গিয়ে শেষ হয়। পরে টাউনহল অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মফিদুল আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দীর্ঘ ৯মাস ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক খন্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী ব্রহ্মপুত্র নদের অপর পাড় শম্ভুগঞ্জে এসে অবস্থান নেয়। পরে তারা পাক সেনাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ার চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পরদিন ১০ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিবাহিনী খবর পায় ব্রহ্মপুত্র নদের উপর রেলওয়ে সেতুটি ডিনামাইট দিয়ে পাকবাহিনী ধবংস করে দিয়েছে। ভোরে পাকবাহিনী ময়মনসিংহ শহর থেকে পালিয়েছে। সকাল ১০টায় মুক্তিবাহিনী শম্ভুগঞ্জ ফেরিঘাট পার হয়ে বীরবেশে ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করেন। এসময় মুক্তিবাহিনীর সাথে সাধারণ মানুষ বের হয়ে সার্কিট হাউজ মাঠে জমায়েত হয়।
এমবি/এমএইচএস