চিরনিদ্রায় শায়িত নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক
মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫২
চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর নাটোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মৃত্যুকালে ভাষা সৈনিক ফজলুল হকের বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানান রোগে ভুগছিলেন।
এর আগে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
১৯৩৮ সালে ফজলুল হক নাটোরের সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জেলা বোর্ডের সেকশন অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি করেছেন তিনি। অবসরের পর ফজলুল হক নাটোর শহরে ওষুধ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি নাটোর ইউনাইটেড মেডিকেল হলের স্বত্বাধিকারী ছিলেন। তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন ফজলুল হক। সেই সময়ে জিন্না স্কুলের (বর্তমানে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন। স্থানীয় আরও তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান দিয়ে শহরে মিছিল ও সমাবেশ করেন। এজন্য হুলিয়া মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল ফজলুল হককে। বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে শুয়ে-বসেই সময় কাটতো তার।
নাটোর জেলায় যে কয়েকজন ভাষা সৈনিক ছিলেন, তাদের মধ্যে ফজলুল হকই শুধু জীবিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পাননি এই গুণী ব্যক্তি। ভাষা আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রাখায় ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয় শতবর্ষ উৎসবে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এমবি/এমএইচএস