আন্দোলনের মুখে সিলেট চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ
বাংলাদেশের প্রতিবেদক, সিলেট
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৪
ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের মুখে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২৪-২৫ সালের কমিটি বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে সিলেট চেম্বারের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশের খবরকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট চেম্বারের সচিব গোলাম আখতার ফারুক।
জানা যায়, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান কমিটিকে ‘বিনা ভোটের কমিটি’ আখ্যায়িত করে বেশ কয়েক দিন ধরে প্রশাসকের মাধ্যমে নির্বাচন দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ দাবিতে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চেম্বার ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা।
সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীর ব্যানারে আয়োজিত এই বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কতিপয় নেতার মদদে ‘বিনা ভোটে’ সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা তাদের ভোটাধিকার নিয়ে সোচ্চার হতে পেরেছেন।
বক্তারা জানান, তারা চেম্বারের বর্তমান কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোটার তালিকার মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ইতোমধ্যে ৫ জন পরিচালক পদত্যাগ করেছেন।
বক্তারা বলেন, সিলেটের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সিলেট চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ জরুরি। প্রশাসক একটি সুষ্ঠু ভোটার তালিকার মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেবেন- এমন প্রত্যাশা করছেন সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ী।
এর আগে ২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি ভেঙে প্রশাসক নিয়োগের জন্য সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পর্ষদকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় রোববার তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। এই কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তারা।
দাবি না মানা হলে ব্যবসায়ীরা বৃহস্পতিবার কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তবে আল্টিমেটামের দুদিনের মাথায় প্রশাসক দেওয়া হলো সিলেট চেম্বারে।
রেজাউল হক ডালিম/এমজে