ছবি : বাংলাদেশের খবর
মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার প্রবাস ফেরত ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু আহমেদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে এলাকাবাসী।
হরতালের ফলে ঘিওর উপজেলা সদরের দোকানপাট বন্ধ ছিল। এদিকে, অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
জানা যায়, সাবেক ছাত্রদল নেতা লাভলু আহমেদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মানিকগঞ্জ থেকে ঘিওরে আনার পর উপজেলা মোড়ে বিক্ষুব্ধরা কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় লাভলু আহমেদকে। তিনি ২০০৩ সালে ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর চলতি বছরের আগস্টে তিনি দেশে ফিরে আসেন। গত চারমাস আগে কুয়েত থেকে দেশে ফেরার পর তিনি ফের বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে লাভলু আহমেদকে হত্যা করা হয়েছে।
আফ্রিদি আহাম্মেদ/এমএইচএস