ছবি : প্রতিনিধি
আর মাত্র ৫ দিন পরেই বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের পরপরই মহান বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক চেতনার দিন হিসেবে ১৬ ডিসেম্বরের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ উল্লাসের বাতাসে মুখরিত হয় সারাদেশ।
সারাদেশের ন্যায় বরগুনার আমতলী উপজেলার পাড়া-মহল্লা ও স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে শহরের অলিগলিতে দিবসটি পতাকা বিক্রেতারাও হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন জাতীয় পতাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আমতলী পৌরসভার একে স্কুল রোডে আবুল বয়াতি নামের এক পতাকা বিক্রেতাকে। বিজয় দিবস উদযাপনে মাসের শুরু থেকেই পতাকা বিক্রি করছেন তারা। বিজয়ের মাসে বাড়ির ছাদে এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল-সবুজের পতাকা উড়তে দেখা যায়।
পতাকা বিক্রেতা আবুল বয়াতি বলেন, ‘৫ বছর যাবৎ বিজয় মাস আসলেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করি। প্রতিদিন ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা বিক্রি হয়। বিজয়ের মাসে সবাই পতাকা কিনে তাই ব্যবসাটাও ভালো হয়েছে। এবছর পতাকা বেল্ট লোগো, ফিতা, ক্যাপ ও ব্যাচ বিক্রি করছি।’
পতাকা কিনতে আসা আমতলী কওমি মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ছাত্র মো. শাহনুর রহিম রিসাদ বলেন, ‘আমি দেশকে ভালবাসি, তাই দেশের পতাকা আমার প্রিয়। এজন্য কিনতে এসেছি।’
পতাকা কিনতে আসা মো. যুবায়ের পঞ্চায়েত বলেন, ‘বিজয়ের মাস, তাই পতাকা কিনেছি। রক্ত দিয়ে মানুষ যুদ্ধ করে এই লাল-সবুজ পতাকার বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। এই পতাকা আমরা বুকে ধারন করে রাখতে চাই।’
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘বাঙালী জাতির ত্যাগে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এই লাল-সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি। শুধু এই ১৬ ডিসেম্বর আসলে বিজয়কে মনে রাখতে হবে সেটা যেন না হয় পাশাপাশি সকল শহীদদেরও মনে করে। তাদের জন্য দোয়া কামনা করা একান্ত দরকার। লাখো শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জন করতে হয়েছে এই বাংলাদেশকে। ’
এস এম সুমন রশিদ/এমআই