চারমাস বন্ধ থাকার পর শেরপুর জেলা কারাগার সীমিত পরিসরে আবারো চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পাঠানো ১৩ বন্দিকে নিয়ে কারাগারের কার্যক্রম শুরু হয়।
শেরপুর জেলা কারাগারে গত ৫ আগস্ট হামলা হয়। ওইদিন সরকার পতনের পর প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা, রাম দা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কারাগারে প্রবেশ করে। তারা বন্দিদের ওয়ার্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ৫১৮ জন বন্দি পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা কারাগারের অস্ত্র, গুলি, খাদ্যসামগ্রী, টাকা-পয়সা এবং গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র লুট করে নিয়ে যায়। কারাগারের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, ফলে কারাগারটি কার্যত অচল হয়ে যায়।
তবে, সম্প্রতি কারাগারের সংস্কার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮০% সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
শেরপুরের নতুন কারা তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল আলম জানান, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হলেও প্রাথমিকভাবে কারাগারটি সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। এখন থেকে নতুন বা পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের শেরপুর কারাগারে আনা হবে। পাশাপাশি, আসামিদের আদালতে হাজিরা শেষে শেরপুর কারাগারে ফেরত আনা হবে। পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হবে কারাগারটির কার্যক্রম।
শাহরিয়ার শাকির/এমএইচএস