আজও কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ৯.২ ডিগ্রির ঘরে
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২
ছবি : প্রতিনিধি
দুইদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে হিমকন্যা পঞ্চগড়। শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে সেটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
সকাল থেকেই দেখা গেছে ভোরের সূর্য। কুয়াশা না থাকলেও হাড়কাঁপছে কনকনে শীতে। জীবিকার তাগিদে সকালেই নদীর বরফগলা পানিতে নেমে যাচ্ছেন পাথর তুলতে। চা বাগানে কাজ করতে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। পাথরের সাইটে কাজে যেতে দেখা যায় নারী-পুরুষ শ্রমিকদের। তারা জানাচ্ছেন, শীতের কারণে কাজে যেতে না চাইলেও পরিবারের কথা চিন্তা করেই তীব্র শীতের মধ্যে কাজে বেড়িয়েছেন তারা।
শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের কারণে অনেকের কমে গেছে আয় রোজগার। এতে করে বেড়েছে দুর্ভোগ। অনেকে জীবিকার তাগিদে সকালেই নদীর বরফগলা পানিতে নেমে যাচ্ছেন পাথর তুলতে। চা বাগানে কাজ করতে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। পাথরের সাইটে কাজে যেতে দেখা যায় নারী-পুরুষ শ্রমিকদের।
তারা জানান, ‘শীতের কারণে কাজে যেতে না চাইলেও পরিবারের কথা চিন্তা করেই তীব্র শীতের মধ্যে কাজে বেড়িয়েছেন তারা।’
শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন ভ্যানচালকরাও। ভ্যানচালক সায়েদ আলী ও মহির উদ্দিন জানান, ‘ভাই খুব ঠান্ডা। ঠান্ডার কারণে ভ্যানে চড়তে চান না অনেকেই। তাই আগের থেকে ইনকাম কমে গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর কিংবা সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’
এদিকে, শীতের তীব্রতায় বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা ছুটছেন হাসপাতালে। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, ‘সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে রেকর্ডে তাপমাত্রা কমতে পারে। গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
এসকে দোয়েল/এমআই