টঙ্গীবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসকে আবেদন
মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:০৬
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হালদারের অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে অধিকাংশ ইউপি সদস্যরা।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য স্বাক্ষরিত রেজুলেশনসহ জেলা প্রশাসক বরাবরে এই অপসারণের আবেদন করেন।
জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করা আবেদনের অনুলিপিতে দেখা যায়, আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের মোট ১২ জন সদস্যের মধ্যে ১০ জন সদস্য ওই অপসারণের আবেদনপত্রের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেছেন। আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় ইউনিয়ন এলাকার জনসাধারণ সেবা গ্রহণে হয়রানির শিকার হচ্ছে। তার কারণে বর্তমান পরিষদ সরকারি আইন মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে না।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর এই ইউপি চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন অনুযায়ী অনাস্থা প্রদান করেন ১০ ইউপি সদস্য। অনস্থাপত্রে উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান বিদেশে থাকায় ওই ইউনিয়নের জনসাধারণ প্রাপ্ত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর আগেও আইন মোতাবেক ৩ সদস্য বিশিষ্ট চেয়ারম্যানের প্যানেল গঠন করার বিধান থাকলেও সময় মতো তিনি চেয়ারম্যান প্যানেল গঠন করেননি।
আড়িয়ল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. এখলাছ সর্দার বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হালদার বিদেশে থাকেন। তাকে আমরা পাইনা। তিনি গত ৭ মাস আগে বিদেশে গেছেন। শুনেছি দুদিন আগে তিনি দেশে এসেছেন। এরপরও তিনি আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেন নাই। ইউনিয়ন পরিষদেও আসেন নাই। তার কারণে এই ইউনিয়নের লোকজন কোনো সেবা পাচ্ছে না। তাই আমরা তাকে অনাস্থা দিয়েছি। অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করেছি।
চেয়ারম্যান দুলাল হালদার বলেন, আমি শুনেছি কতিপয় ইউপি সদস্য কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করছেন। আমিতো কোনো কিছুরই নোটিশ পাই নাই। আইন অনুযায়ী যেটা হওয়ার সেটা হবে।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি। আড়িয়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে দরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমার কাছে এখনো দরখাস্তের কোনো অনুলিপি আসে নাই।
এমবি