Logo
Logo

সারাদেশ

শীতের আগমনে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০০

শীতের আগমনে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দেখতে দেখতে চলে আসছে শীতকাল। শীত মানেই প্রশান্তির ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু। গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড ঠান্ডায় জবুথবু দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মানুষ। শীতের আগমনে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এবার একটু আগে থেকেই শীত নামতে শুরু করায় লেপ-তোশকের ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলার পৌর শহরসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানে ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য লেপ-তোশক মজুদ করে রেখেছেন। 

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা বেশি পড়ছে। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো কুয়াশায় চারদিকে ঢেকে যাচ্ছে। নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে উপজেলায় শীত নামতে শুরু করেছে। তীব্র শীতের কারণে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি ধুনকর আর গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। লোকজন নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোশক সংগ্রহ করেছেন। লেপ-তোশক তৈরির অগ্রিম বায়না নিচ্ছেন কারিগররা। বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্রের পাশাপাশি কোট-প্যান্ট তৈরির চাহিদাও বেড়ে গেছে।

পৌর শহরের বিজয় চত্বর এলাকার মফিজুল ইসলাম, ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে বাবু রহমান ও হাটখোলা এলাকার কাহারোল মোড়ে মা তুলা ঘরের স্বত্বাধিকারী মো. ইসরাইল হোসেনসহ অনেক কারিগর লেপ-তোশক তৈরির কাজে ব্যস্ততা সময় পার করছেন। এদিকে খোলা বাজারে লেপ-তোশক তৈরির তুলার দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বলেও দাবি ক্রেতারা।

বিজয় চত্বর এলাকার লেপ-তোশক তৈরির কারিগর আজিজুল ইসলাম জানান, বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্ট তুলা ৬০-৭০ টাকা, শিমল তুলা ৪০০-৪৫০ টাকা, কার্পাস তুলা ১৮০-১৯০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এই বছর তুলার মূল্য অনেক বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে পৌর এলাকা ও গ্রামাঞ্চলের গৃহবধূরা শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পুরান কাঁথা, কম্বলগুলো জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করেছেন।

উপজেলার দোকানগুলোতে একটি লেপ বানাতে প্রকার ভেদে ১২০০-১৬০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। পৌর শহরের পরিত্যক্ত ডাক্তার খানা মাঠ এলাকায় একজন ক্রেতা জানান, গতবার ১০০০ টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল, এবার সেটা ১২০০ টাকা খরচ পড়ছে।

লেপ কিনতে আসা মাহবুব ইসলাম বলেন, উত্তরাঞ্চলে শীত বেশি হয়, তাই আগে ভাগে লেপ তৈরি করে নিতে এসেছি। তিনি আরও  জানান, লেপ-তোশক প্রকারভেদে গত বছরের চেয়ে এবার ২৫০-৩০০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। 

উপজেলার হাটখোলা এলাকার কারিগর ইসরাইল ও জাকিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ২-৪টা লেপ-তোশক বানাতে পারি। আর একটি লেপ-তোশক বানানোর মজুরি হিসেবে পাই ২৫০-৩৫০ টাকা। তবে সাইজ অনুসারে প্রতিদিন ৬০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার হয়। সেই টাকা দিয়েই সংসার চলে। দীর্ঘ ৯ বছর থেকে এই কাজ করে আসছি।

এদিকে, লেপ-তোশক দোকানদার বাবু রহমান বলেন, লোকজন শীত নিবারণের জন্য শীতবস্ত্রের প্রতি ঝুঁকছেন। উপজেলায় লেপ-তোশকের অনেক দোকান থাকা শর্তেও প্রতিদিন ৭-১০টি অর্ডার পাই।

তিনি আরও বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার কাপড় ও তুলার দাম বেশি। যেমন শিমুল তুলা ৪৫০-৫০০ টাকা প্রতি কেজি, সাদা (গার্মেন্টস তুলা) ৭০-৮০ টাকা প্রতি কেজি। কালো-হলুদ, লাল রঙের গার্মেন্টস তুলা ৪০-৫০ টাকা প্রতি কেজি। কার্পাস তুলা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করি। বিভিন্ন কাপড়ের মান অনুসারে প্রতি গজ ৬০-৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।

এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর