ছবি : প্রতিনিধি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জেলা পুলিশ লাইন্সে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
এরপরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে ফুল দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি সহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিসহ হাজারো সাধারণ মানুষ।
এদিকে সকাল ৮টায় রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দেন মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল।
বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরীতে বিশাল বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
সকাল ৯টায় নগরীর হেতেখাঁ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে আলোচনা সভা করে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের এবার অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠান না থাকলেও আছে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্ক, যাদুঘরে বিনা টিকেটে শিশুদের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। সুবিধামতো সময়ে হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদন, শিশু একাডেমি, বৃদ্ধাশ্রম, ছোটমনি নিবাস, শিশুপল্লী ও বেসরকারি এতিমখানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিজয় দিবস উপলক্ষে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করে।
এছাড়া মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সুবিধাজনক সময়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
এমআই