ছবি : বাংলাদেশের খবর
আজ ১৬ ডিসেম্বর, ৫৪তম মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে এনেছিল লাল-সবুজের পতাকা। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনসাধারণের ঢল নেমেছে।
বিজয় উদযাপনে সকাল থেকেই স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। স্মৃতিসৌধ চত্বর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
বাইপাইল থেকে আসা মরিয়ম হক মুনমুন বলেন, ‘আমি আমার মেয়েকে নিয়ে সকাল সকাল জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছি। আজকের দিনে আমরা বিজয় পেয়েছি। আমরা যুদ্ধ দেখি নি, তবে স্মৃতিসৌধে এসে যুদ্ধে জয়লাভের আনন্দ পাই। এজন্য প্রতি বছরই আসি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জানাতে আমার সন্তানকে নিয়ে এসেছি।’
গাজীপুর থেকে আসা আহসান হাবীব বলেন, ‘আমরা চাকরি করি, পরিবারকে খুব বেশি সময় দিতে পারি না। তাই বিজয়ের ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে এসেছি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকেও অনেক মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। আমরা শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি এবং বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করছি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মন্ডল বলেন, ‘আমরা একসাথে অনেকেই যুদ্ধ করেছি। এদের মধ্যে অনেকেই এখানে শুয়ে আছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে বুকটা গর্বে ভরে যাচ্ছে। শেকড়কে ভুলে গেলে কখনো মঙ্গল হয় না। আমার শহীদ ভাইরা মানুষের মনে শ্রদ্ধার জায়গা দখল করে রাখবে দিনের পর দিন।’
এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিজয়ের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীর বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সকলের জন্য স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক উন্মুক্ত করা হয়। এর পরেই শুরু হয় গণমানুষের ঢল। বিকেল ৪ টা পর্যন্ত লাখো মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন, আবার অনেকেই শ্রদ্ধা জানাতে প্রবেশ করছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুরো এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে সাভারের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি পালন করছে।
এআরএস