Logo
Logo

সারাদেশ

স্বামীর ঋণের দায়ে দুই শিশুসহ স্ত্রী গ্রেপ্তার

Icon

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৯

স্বামীর ঋণের দায়ে দুই শিশুসহ স্ত্রী গ্রেপ্তার

সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীর ঋণের দায়ে দুই শিশুসহ স্ত্রী হানিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একটি এনজিও পাওনা টাকার জন্য হানিয়া ও তার স্বামী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে আশুলিয়া থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আশুলিয়ার বাইদগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হানিয়া আক্তার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বাইদগাঁও এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী।

জানা যায়, ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের সাভার শাখা থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেন মনির হোসেন। ইতোমধ্যে ঋণের ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় বাকি প্রায় এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন। 

ওই মামলায় ঋণ গ্রহীতা মনির হোসেনের স্ত্রী হানিয়া আক্তারকেও আসামি করা হয়। পুলিশ মনিরকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ তার স্ত্রীর সাথে তাদের দুই শিশু সন্তানকেও থানায় নিয়ে আসে। যাদের একজনের বয়স আড়াই বছর ও অন্যজনের বয়স মাত্র ১৪ মাস।

তবে পুলিশ বলছে, হানিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তার হানিয়া আক্তার বলেন, ‘আমি জানি না, কেন তারা আমাকে গ্রেপ্তার করেছে। শুধু শুনেছি, আমার স্বামী নাকি কিস্তি দিতে পারেনি। তাই তারা আমার নামে মামলা দিয়েছে। অথচ আমি কোনো এনজিও থেকে টাকাই তুলিনি। তারা আমার স্বামীকে কিছু না বলে আমাকে ধরে এনেছে।’

গ্রেপ্তার নারীর স্বামী মনির হোসেন বলেন, ‘ঋণ নিয়েছি আমি, আমাকে গ্রেপ্তার না করে, তারা আমার স্ত্রী-সন্তানকে থানায় নিয়ে গেছে। ছোট্ট ব্যবসা করতাম। লোকসানের মুখে পড়ায় কিস্তি দিতে কিছুটা সময় নিচ্ছি।’

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হানিয়া বেগমের নামে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

মায়ের সাথে দুই শিশুকে থানায় আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছোট বাচ্চা দুটিকে মায়ের সাথে নিয়ে এসেছি, যাতে তিনি দ্রুত জামিন পান। এটা তো অন্যায় কিছু হয়নি। তাকে এনে হাজতেও রাখা হয়নি। মুন্সির রুমে বিছানা করে রাখা হয়েছিল। কারণ বাচ্চারা তো আর অপরাধ করেনি। এ ছাড়া তাকে প্রিজন ভ্যানেও পাঠানো হয়নি। একটা সিএনজি ভাড়া করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড সাভার শাখার সেকেন্ড অফিসার তাপস সরকার বলেন, ‘তার কাছে এখনো ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫৫০ টাকা পাওনা রয়েছে। এই টাকা দীর্ঘদিনেও পরিশোধ না করায় হেড অফিস থেকে দুটি মামলা করা হয়। যার একটি মামলায় ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

স্বামী ঋণের জন্য স্ত্রীর নামে মামলা কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, তার স্ত্রী লোনের জামিনদার ছিলেন, তাই তার নামেও মামলা হয়েছে।

হাসান ভুঁইয়া/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর