ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় দুর্বৃত্তের হানায় দুই কৃষকের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক বেনজির আহমেদ শিলু ও তার প্রতিবেশী টুলু।
দুর্বৃত্তরা শিলুর ২৫০টি কলার কাঁধি, দুই শতক ভুট্টাগাছ ও প্রতিবেশী টুলুর ৬ শতক জমির পান গাছের লাতা কেটে দিয়েছে। এতে দুই কৃষকের প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক বেনজির আহমেদ শিলু সদর উপজেলার কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামের হেলাল মালিতার ছেলে এবং তার প্রতিবেশী টুলু একই গ্রামের আজিমউদ্দীনের ছেলে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, নবগঙ্গা নদীর তীরে শিলুর দুই বিঘা জমিতে অপরিপক্ব কলা ও পাশের ভূট্টা ক্ষেত। কলার গাছ থেকে অপরিপক্ব কলা কেটে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। তার পাশের দুই শতক ভুট্টা গাছের গোড়া থেকে কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। অন্যদিকে, টুলুর ১২ শতক পান বরজের ৬ শতক জমির পান গাছের গোড়া থেকে লতা কেটে ফেলা হয়েছে। এই ক্ষতির পর, দুই কৃষক দাবি করেছেন যে তাদের প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পান চাষি টুলু জানান, সকালে বরজে এসে দেখি, পান গাছের গোড়া থেকে সব লতা কেটে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা এমন ক্ষতি করেছে, তা আমি জানি না। যদি কারো সঙ্গে শত্রুতা থাকে, তাহলে তাদের আমার ফসলের ক্ষতি করার কথা নয়।
কলা চাষি বেনজির আহমেদ শিলু বলেন, বাগানে আসতেই দেখি, কলার গাছ থেকে কলা কেটে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া পাশের ভুট্টা গাছের গোড়া থেকে সব কেটে ফেলেছে। এতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে, কী করব বুঝতে পারছি না।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নূর-এ-নবী বলেন, দুজন কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কৃষি অফিস থেকে তাদের সহায়তার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুরহান উদ্দীন/এমবি