৫ বছর বন্ধ থাকার পর চালু হচ্ছে রংপুর চিনিকল
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫৫
বিগত পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে রংপুর চিনিকল পুনরায় চালু হচ্ছে। এই কারখানার আধুনিকায়ন ও মাড়াই কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্তে আনন্দিত এলাকার মানুষ। ১৫ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে মাড়াই স্থগিতকৃত ছয়টি চিনিকলের মাড়াই কার্যক্রম পুনরায় চালুর সিদ্ধান্তের পর আখচাষীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে খুশির বন্যা বইছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৫ ডিসেম্বর একটি চিঠি বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আফরোজা বেগম পারুল স্বাক্ষরিত ৩৬.০০.০০০০.০৬৪.৯৯.০১২.২৪.১৬৪ নাম্বার স্মারকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীন মাড়াই স্থগিতকৃত চিনিকল সমূহে পুনরায় মাড়াই কার্যক্রম চালুকরণ শিরোনামের বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান (গ্রেড-২) এর বরাবরে একটি পত্র প্রদান করা হয়। এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার আখচাষীসহ সব স্তরের মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে।
গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে অবস্থিত রংপুর চিনিকল, যা এই জেলার একমাত্র কৃষিভিত্তিক ভারী শিল্প, দীর্ঘদিন ধরে আখচাষীদের জীবন-জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিল। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর, স্থানীয় কৃষকরা নতুন করে সুদিনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) মাসুমা আকতার জাহান বলেন, ‘আধুনিকায়নের মাধ্যমে চিনিকলটি চালু হলে অবশ্যই লাভজনক অবস্থায় উন্নীত হবে, কারণ এই অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশ আখ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।’
রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকারের শাসনামলে রাষ্ট্রায়াত্ত চিনিশিল্প বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বর্তমান সরকার সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে, চিনিকলটি পুনরায় চালু করার বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
চিনিকলটি গত চার বছর বন্ধ থাকায় ৩৫ একর আয়তনের কারখানার চত্বরটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল এবং আখ পরিবহনের যানবাহনগুলোও অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল।
আতিকুর রহমান/এমজে