ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাভারের আশুলিয়া, নাটোরে শিংড়া ও নওগাঁ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় জানানো হয়, গত ১১ নভেম্বর রাতে ভাঙ্গা থানার ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুরে দুটি গরুসহ একটি পিকআপ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত সদস্যরা গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে গরুসহ ওই পিকআপ (ঢাকা মেট্রো ন-১৯-৪১৯৮) লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় গাড়ির মালিক ভাঙ্গা থানার নুরুল্লাগন্জ্ঞ ইউনিয়নের ধর্মদী গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৪) বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এই ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গত শুক্রবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে কেরানীগঞ্জ থানার নজরগঞ্জ এলাকা থেকে ডাকাত দলের দুই সদস্য পারভেজ মুন্সী (২৭) ও মো. আরাফাত হোসেনকে (২৬) আটক করে পুলিশ।
আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত ২টা ৩০ মিনিটে অভিযান চালিয়ে ভাঙ্গা দক্ষিণপাড় বাসস্ট্যান্ড থেকে ডাকাত দলের আরও ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোহেল কাজী (২৩), জুয়েল কাজী (২২), মিন্টু শেখ (৫৫), মো. সাগর (২৫), মেহেদি হাসান (২৮)।
এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি পিকআপ গাড়ি, নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান জানান, আটকৃতদের মধ্যে মেহেদী হাসানের নামে ১০টি ডাকাতি মামলা রয়েছে৷ গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে জুয়েল কাজী, সোহেল কাজী ও মিন্টু শেখের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের জবানবন্দি ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মোসলেউদ্দিন/এমবি