মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে মানুষের ঢল
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:০২
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বাংলাদেশে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল করছেন জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের পেকুয়ায় মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল উপলক্ষ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ঢল নেমেছে। মরহুম মাওলানা শহিদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করবেন তিনি।
এদিন সকাল থেকেই মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে মাহফিলের মাঠ। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দেশের খ্যাতনামা ইসলামী স্কলারগণ বয়ান করছেন। সকাল থেকে বয়ান করেছেন দেশের খ্যাতনামা ইসলামি স্কলার শায়খ মুফতি কাজী ইব্রাহীম, শায়খ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন। জুমার নামাজের খুতবা দিয়েছেন মাওলানা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী বলেন, আজহারী হুজুরসহ জনপ্রিয় ইসলামী আলোচকদের আগমনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। মানুষ সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে যৌথ বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে। আজহারী হুজুর রাত ১০টায় আলোচনা করবেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, বৃহত্তর ঐতিহাসিক তাফসির মাহফিল ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রাকিব-উর রাজা মাহফিলের স্থান পরিদর্শন করেছেন। আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেই মাহফিলের ঘোষণা দিয়েছেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, নিরাপদে দেশে এসে পৌঁছালাম।’
নতুন বছরে তাফসির মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বাধাহীনভাবে আবারও প্রিয় মাতৃভূমিতে তাফসিরুল কুরআনের মহতী আয়োজনে অংশগ্রহণ করছি। উদ্বোধনী প্রোগ্রাম হিসেবে আগামীকাল (শুক্রবার) কক্সবাজারে পেকুয়ার বৃহত্তর সাবেক গুলদি তাফসির ময়দানে আলোচনা পেশ করব। এটি একটি ওয়ার্ম-আপ প্রোগ্রাম। মূলত নতুন বছর ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে বিভাগীয় সফর শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।’
মিজানুর রহমান আজহারী আরও লিখেছেন, ‘প্রতিটি বিভাগেই একটি করে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছে আছে। রাব্বে কারিম নবউদ্যমে এই দাওয়াতি অভিযাত্রায় যুক্ত রাখুন। আমাদের প্রচেষ্টায় ভরপুর বারাকাহ দিন। প্রজন্ম-ক্ষুধা নিবারণে বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে ইসলামের শাশ্বত বাণী উপস্থাপনের তাওফিক দিন।’
ডিআর/এমবি