Logo
Logo

সারাদেশ

সরকারি গাছ কেটে বেকায়দায় বিএনপি নেতা

Icon

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫৪

সরকারি গাছ কেটে বেকায়দায় বিএনপি নেতা

ছবি : প্রতিনিধি

চাঁদপুরের শাহমাহমুদপুরে সরকারি গাছ কেটে বেকায়দায় পড়েছেন লোকমান খান নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। গাছ কাটার সময় গ্রাম পুলিশ তাকে নিষেধ করলেও শোনেননি তিনি।

জানা গেছে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের মাঝার সড়কের কুমারডুগি গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির ওই নেতা ৫ জন শ্রমিক এবং বহিরাগত আরও বেশ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি এই গাছ কাটেন। এরপর গাছের অধিকাংশ ডালপালা তার বাড়িতে নিয়ে গেলেও গাছের গুড়ির বড় বড় অংশ ঘটনাস্থলে রেখে দেন।

ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল মিজি বলেন, ‘প্রয়োজনে গাছ কাটা হয়েছে। কার সাথে অনুমতি নিয়ে গাছ কাটবে?

স্থানীয় ব্যবসায়ী সুমন খান বলেন, ‘লোকমান খান শ্রমিক এনে এই গাছ কাটে। এই গাছ তার নিজের বলে তিনি দাবি করেছেন। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা।’

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এর আগেও রাজনৈতিক পরিচয়ে ইউনিয়নের একাধিক সড়ক থেকে কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি বেশ কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বাশার ও আলী হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমাদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। আমরা লোকমান খানকে গাছ না কাটার জন্য নিষেধ করলেও তিনি আমাদের কথা কর্ণপাত করেননি। গাছ কাটার সময়ের ছবি ও ভিডিও করে আমরা চলে এসেছি এবং ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার জন্য বলেছি। তিনি আমাদের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেছেন।’

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা লোকমান খান বলেন, ‘মসজিদের গাছ কেটেছি মাদ্রাসার কাজের জন্য। অনুমতির কী দরকার?

গাছ অনুমতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনুমতি নেই নি। তবে পরিষদে যাওয়ার জন্য বলেছে।’

শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ কুদ্দুছ আখন্দ রোকন বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিক দুইজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা ঘটনাস্থলে গেছে এবং গাছ না কাটার জন্য বলেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, ‘গাছকাটার বিষয়টি বিকেলে আমাকে ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অনুমতি না নিয়ে ওই ব্যক্তি গাছ কেটেছেন। এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছি।’

আলআমিন ভূঁইয়া/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর