দৈনিক চাঁদনি বাজার ও দৈনিক করতোয়ায় প্রকাশিত 'পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ' সংবাদটি অস্বীকার করে প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা । এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী গফুর প্রামাণিক। 

সংবাদ সম্মেলনে গফুর প্রামাণিক বলেন, ‘পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ নামক প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মাঝিড়া মৌজার সাবেক দাগ ৬৩৫ ও হাল দাগ নং- ৮৭ এর উত্তর ধারে ৩ শতক জমিতে দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে আমরা আধাপাকা দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে জীবিকানির্বাহ করে আসছি। ওই নালিশি সম্পত্তির মালিকের কাছে থেকে আমার বাবা ছৈইমউদ্দিন কিনে তার নিজ নামে রেকর্ড ও খারিজ খতিয়ান প্রস্তুত আছে । যার হিসাব নং- ১২৭০। 

হাল সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করে ডিসিআর পেয়েছি । নালিশি দাগের সম্পত্তিতে বাদী আব্দুল মোমিন বগুড়া জেলা প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৭১/৯৬ নং বণ্টন মামলা দায়ের করে এবং হেরে যায় । অতঃপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে প্রথম ২য় যুগ্ম জজ আদালতে আপিল করলে আদালত মোমিনের আপিল খারিজ করে দেয়। আমরা সকল মামলার রায়ে ডিক্রি এবং জমির সমস্ত কাগজপত্র পেয়ে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নকশা অনুমোদন সাপেক্ষ জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু করি। 

কাজ চলাকালীন অবস্থায় মোমিন ও তার ছেলে সেলিম তাদের মামলার খরচ বাবদ ২০ লাখ টাকা দাবি করে । আমরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে জীবননাশের হুমকি ও মামলার ভয়ভীতি প্রদান করে ।

বাদী মোমিনের দাবিকৃত হাইকোর্ট সিভিল রিভিশন মামলার কোনো নোটিশ বা রায়ের কপি আমরা আজও অবধি হাতে পাইনি। মোমিন সকল মামলায় হেরে গিয়ে তার ছেলে সেলিমের দায়েরকৃত এডিম কোর্টের নোটিশ ২২ ডিসেম্বর তারিখে আমরা হাতে পাই ও তা মান্য করি। এছাড়াও গত ২০ ডিসেম্বরে মোমিন ও তার ছেলের ভাষ্যমতে রাতের আধারে ঢালাই কাজ করার বিষয়টি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে আল-আমিন, সাইদুর রহমান, আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন । ভুক্তভোগীরা জীবনের নিরাপত্তা ও হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।

এমআই