রিমান্ড শেষে জাহাজে ৭ খুনের আসামি আকাশ কারাগারে
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫২
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি আকাশ মন্ডল ইরফানের সাতদিনের রিমান্ড ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। পরে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে চাঁদপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) কুহিনুর বেগম বলেন, আসামি ইরফানের কাছ থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। তাকে আদালতে হাজির করার পর বিচারক জবানবন্দি নিয়েছেন। এ খুনের ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করেছেন তিনি। এ মামলায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। আমাদের আইন কর্মকর্তারা সরকারকে সহযোগিতা করছে এবং সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তবে আদালতে আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে আসামি আকাশ মন্ডল ইরফানকে র্যাব-৬ এর সহযোগিতায় র্যাব-১১ কুমিল্লার একটি দল অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে দুপুরে আসামিকে র্যাব-১১ কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন র্যাব-১১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন।
গ্রেপ্তার আকাশ মণ্ডল (২৫) বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট এলাকার জগদীশ মণ্ডলের ছেলে।
এছাড়া গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় হাইমচর থানায় অজ্ঞাতনামা ডাকাতদলকে আসামি করে মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ। ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা নৌ পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মো. কালাম খান আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালতের বিচারক মুহাম্মদ ফারহান সাদিক সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর ইশানবালা মাঝেরচর খালের মুখে নোঙর করে রাখা সারবাহী জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
আলামিন ভুইয়া/এমবি