পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯
ছবি : বাংলাদেশের খবর
শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও গত তিনদিন ধরে হিমাঞ্চল জেলা পঞ্চগড় ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন। রাতভর শিশির আর দিনের বেলায় হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিশেষ করে শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। জীবন বাঁচাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে তারা।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি। বুধবার দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ হওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে।
সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। হেডলাইট জ্বালিয়েও যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। শীতে কাপড়ের পর কাপড় পরেও স্বস্তি পাচ্ছেন না মানুষ।
উত্তর দিক থেকে আসা হিমেল বাতাসের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে। পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক ও কৃষকদের জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশীতল পরিবেশেও কাজ করতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘রাতের তাপমাত্রা যেন প্রায় শূন্য ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। কাগজের কাটন আর খড়কুটো জ্বালিয়েও শীত নিবারণ সম্ভব হচ্ছে না।’
স্থানীয় এক ভ্যানচালক বলেন, ‘কুয়াশার মধ্যে ভ্যান চালাতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। যাত্রী সংখ্যাও কম, তাই আয়ও কমে গেছে।’
এদিকে তীব্র শীতে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ বয়স্করা হাসপাতালে ভিড় করছেন। তবে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন কেবল গুরুতর অসুস্থ রোগীরা। চিকিৎসকরা শীত থেকে সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, ‘তাপমাত্রা কমে আসা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো জেলা।’
এসকে দোয়েল/এআরএস