‘জিয়ার নাম নিলে বেহেশত নিশ্চিত’, বিএনপি নেতার বক্তব্য ভাইরাল
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৭
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে কামরুল হুদাকে বলতে শোনা যায়, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম প্রতিদিন নিলে বেহেশত নিশ্চিত।’
বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তার ওই বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে কামরুল হুদাকে বলতে শোনা যায়, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম প্রতিদিন নিলে বেহেশত নিশ্চিত, আমি বিশ্বাস করি। কারণ উনি দেশের জনগণের সঙ্গে হঠকারিতা করেননি।’
এ সময় কামরুল হুদা আরও বলেন, ‘শেখ সেলিম, শেখ হেলালসহ এই শেখ পরিবার লুট করে দেশটাকে শেষ করেছে, এই শেখ পরিবারের কেউ মুক্তিযোদ্ধা নন। যুদ্ধ না করেই আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল হয় কী করে? ৯৬ সালের নির্বাচনের পর আবেদন করে আওয়ামী লীগের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। শেখ হাসিনা সাড়ে ৩০০ মন্ত্রী-এমপি নিয়ে পালিয়েছেন।’
জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একটা দল (জামায়াত) আমাদের সঙ্গে ছিল। তারা অতীতে আমাদের ওপর ভর করে ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছিল। চৌদ্দগ্রামবাসী জানে তাদের ভোটের হার কত।’
আগামী নির্বাচনের সময় প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ২০০ করে ছোট লাঠি প্রস্তুত রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সভায় উপস্থিত দলের একাধিক নেতা বলেন, ‘কোনো মুসলিম এমন বক্তব্য দিতে পারে? তার এমন বক্তব্যে আমরা বিস্মিত, দলের প্রতি অতি আবেগ দেখাতে গেলে যা হয়। যেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, এর পাশেই মসজিদ। জোহরের নামাজের সময় হলে তিনি (কামরুল হুদা) মুয়াজ্জিনকে মাইকের পরিবর্তে মুখে আজান দিতে বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানের বিরতি না দিয়েই চলমান রাখা হয়। এতে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।’
অনুষ্ঠানে এমন বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন বিএনপি নেতা কামরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মক্কায় হাজিদের সুবিধার্থে বেশকিছু নিম গাছ লাগিয়েছিলেন। ওই কারণে ওনার নাম নিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে, এটা কি ভুল বলেছি?’
এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, ‘আমি এমন বক্তব্য এখনো শুনিনি, ভিডিওটি দেখে পরে এ বিষয়ে জানাতে পারব।’
সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমজে