ছবি : বাংলাদেশের খবর
কিশোরগঞ্জে ওয়াজ মাহফিল চলাকালে মঞ্চের দিকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হুজুর ও এক সফর সঙ্গী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের চরশোলাকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিতে আহতরা হলেন- মাওলানা মুফতি আল আমিন সাদী (৩৮) ও তার সফর সঙ্গী মো. জুলহাস মিয়া (১৯)।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের চরশোলাকিয়া গাছবাজার এলাকায় কুমুদিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাদ্রাসাতুল উলুমিল ইসলামিয়া দারুল জান্নাত কওমি মহিলা মাদ্রাসার উদ্যোগে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিল চলাকালীন রাত ১টায় মাওলানা মুফতি আল আমিন সাদী মঞ্চে ওঠার সময় এয়ারগানের মাধ্যমে গুলি ছুড়ে দুষ্কৃতিকারীরা। এ ঘটনায় মুফতি আল আমিন সাদী ও আগত বক্তার সফর সঙ্গী মো. জুলহাস মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
এ ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মাহফিলটি পণ্ড হয়ে যায়। বর্তমানে এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আহত মুফতি আল আমিন সাদী জানান, ওয়াজ মাহফিল চলাকালীন আমি মঞ্চের নিচে ছিলাম। আমার সাথে একজন হুজুরের সহযোগী হাঁটাচলা করছিলেন। এ সময় কে বা কারা গুলি ছুড়ে আমাদের জানা নেই। এতে হুজুরের সহযোগী গুরুতর আহত না হলেও আমি গুরুতর আহত হয়েছি। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
তিনি আরও জানান, এ বছর নিয়ে আমাদের দ্বিতীয় বার্ষিকী ওয়াজ মাহফিল ছিল। থানায় এখনো লিখিত অভিযোগ না দিলেও মৌখিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিছুটা সুস্থ হয়ে তারপর অভিযোগ দিব। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের আলেম-ওলামা পরিষদও কাজ করছে। কি কারণে আমাদের উপর এভাবে আক্রমণ করা হলো জানা নেই।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনার পরপরই পুলিশ সেখানে যায়। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগও জমা হয়নি।
আব্দুর রউফ ভূঁইয়া/এমবি