আ.লীগের পতনের পর কুষ্টিয়ায় বিএনপির বিভক্তি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০০
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই কুষ্টিয়ার বিএনপিতে বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তারপর থেকেই বিএনপির পদবঞ্চিত নেতারা নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া রেনইউক বাঁধে পৌর বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে পদবঞ্চিত নেতারা শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করেন।
এদিকে, সকাল থেকেই কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন।
সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার। সঞ্চালনায় ছিলেন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ কে বাবু বিশ্বাস।
কর্মী সম্মেলন শেষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও শহর বিএনপির সভাপতি কুতুবউদ্দিন আহমেদ বর্তমান শহর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়ায় পদবঞ্চিত বিএনপির নেতারা একই সময়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বর্তমান কমিটি বাতিল করে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিতদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করার দাবি করেন।
কমিটি বাতিলের দাবিতে আগামী ১২ জানুয়ারি ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও অনশন এবং ১৬ জানুয়ারি কুষ্টিয়ায় অনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবেন পদবঞ্চিত নেতারা।
তারা বলেন, ‘একের পর এক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, যতদিন বর্তমান কমিটি বাতিল না হবে। এই কমিটি বাতিল না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন পদবঞ্চিত নেতারা।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজল মাজমাদার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামিমুল হাসান অপুসহ পদবঞ্চিতরা।
একই সময় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থাকায় শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে সাধারণ কর্মীরা জানান, দীর্ঘ অপেক্ষার পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে। এই সময়ে দলের গ্রুপিংয়ের কারণে সামনে আগানো কঠিন হয়ে পড়বে। এখন বিভক্তি দূর করে দল গোছানোর সময়। এই সময় দল গুছিয়ে সবাই একত্রে দলের জন্য কাজ করতে না পারলে সামনে কঠিন সময় পার করতে হবে বলে মনে করেন তারা।
আকরামুজজামান আরিফ/এমজে