ঝিনাইদহে পাওয়ার টিলার দৌড়, কাদামাটির মাঠে উৎসব

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৮
-67808815c89d9.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো ভিন্নধর্মী এক ‘পাওয়ার টিলার দৌড় প্রতিযোগিতা’। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের একতার মাঠে শুরু হওয়া দিনব্যাপী এ আয়োজন দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। প্রতিযোগিতার সমাপ্তিতে বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে ছাগল ও স্মার্টফোন।
একতারপুর যুব সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নেয় ৪০টি দল। প্রতিযোগিতার স্থানটি আগ থেকেই কাদামাটি দিয়ে প্রস্তুত করা হয়, যেখানে ঠান্ডা-শীত উপেক্ষা করে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের লালন মিয়া জানান, তিনিসহ তাদের উপজেলা থেকে মোট ৪টি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘সারাদিন কাদা-পানি মেখে মাঠের মধ্যে বয়ে যাওয়া হিমেল বাতাসে খুব কষ্ট হয়েছে। তারপরও খেলা দেখতে আসা মাঠভরা দর্শক আমাদেরকে ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছেন। এতে কষ্ট আর কষ্ট মনে হয়নি।’
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য রাজন হোসেন জানান, এখন অধিকাংশ জমি ত্রি-ফসলিতে পরিণত হওয়ায় মাঠ ফাঁকা পাওয়া যায় না। এখন গ্রামের মানুষের তেমন একটা কাজ নেই। এ সুযোগে এলাকার মানুষের ব্যতিক্রমী খেলার মাধ্যমে বিনোদন দিতে এ আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিযোগীতায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আবির হোসেন প্রথম, একই উপজেলার প্রান্ত মিয়া দ্বিতীয় ও কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়ার সাগর হোসেনের দল তৃতীয় স্থান লাভ করে। সেরা চালক নির্বাচিত হন বলিদাপাড়ার সোহাগ।
খেলা শেষে প্রথম স্থান অর্জনকারীকে একটি বড় ছাগল, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ছোট ছাগল ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীর হাতে একটি স্মার্টফোন তুলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ, বিএনপিনেতা গোলাম রব্বানী, প্রভাষক আব্দুল মাজেদ প্রমুখ।
এম বুরহান উদ্দীন/এটিআর