অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পেলেন চিকিৎসক

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৪১
-678384711f019.jpg)
গাজীপুরের শ্রীপুরে চিকিৎসা দিতে এসে অপহরণের শিকার হন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আমিনুর রহমান (৪০)। মুক্তিপণ দিলে ৯ ঘণ্টা পর আহত অবস্থায় ছাড়া পান তিনি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার কাছ থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
জানা গেছে, মাওনা চৌরাস্তার কাছ থেকে তাকে অপহরণ করে একটি চক্র। অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে পরিবারের কাছে ফোন করায়। এ সময় তারা ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাতে কয়েক দফায় অপহরণকারীদের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার পর রোববার ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের হোতাপাড়া ও রাজেন্দ্রপুরের মাঝামাঝি একটি স্থানে আহত অবস্থায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকের চাচাতো ভাই সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন জানান, অপহরণকারীরা আমিনুর রহমানের কাছ থেকে দুটি স্মার্টফোন, একটি ল্যাপটপ ও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে যায়। এছাড়া মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের জন্য বারবার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল।
চিকিৎসকের স্ত্রী মোসা. লুনা বলেন, ‘অপহরণকারীরা আমার স্বামীকে মারধর করছিল। ফোনে কান্নার আওয়াজ শুনিয়ে আমাদের কাছে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে দেরি হলে তারা অত্যাচারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আমরা বাধ্য হয়ে টাকা পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘অপহরণের ঘটনার পরপরই আমরা অভিযান শুরু করি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এখন পরিবারের কাছে নিরাপদে রয়েছেন।’
চিকিৎসক আমিনুর রহমান টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কচুটি গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার দুপুরে শ্রীপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে ফেরার সময় এ ঘটনায় তিনি শিকার হন।
এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অপহরণকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
আতাউর রহমান সোহেল/এমজে