কক্সবাজারের এডিসি ইয়ামিনের অপসারণ চান শিক্ষার্থীরা
![Icon](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/settings/ezgif-7-c58f72a6c2icon-2-1730277221.png)
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৫
![কক্সবাজারের এডিসি ইয়ামিনের অপসারণ চান শিক্ষার্থীরা](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/news_photos/2025/01/13/Bangladesher-khabor-mustain-(27)-67851208cabaf.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ইয়ামিন হোসেনের দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়ামিন হোসেনের বিরুদ্ধে সমুদ্র সৈকতের ঝালমুড়ি বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্যবহার করে ছাত্র আন্দোলন দমনে স্বৈরাচারী পদক্ষেপ নেওয়া এবং বিরোধী মতের ছাত্রদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসব চাঁদা আদায়ের জন্য বিচ কর্মীদের ব্যবহার করা হতো।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ডিসি দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন এডিএম ইয়ামিন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ওই নির্বাচনে প্রশাসনের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা নিশিরাতে ভোট ডাকাতি, ছাত্রদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, আন্দোলন দমাতে প্রশাসন ছাত্রলীগ ও পুলিশকে ব্যবহার করে গুলি, গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্মারকলিপিতে ছাত্রনেতারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেন। সেগুলো হলো :
১. এডিএম ইয়ামিন হোসেনের দ্রুত অপসারণ।
২. আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক বদলি।
৩. ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত প্রশাসন, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের আইনের আওতায় আনা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। তারা গত ৫ আগস্টের আগে যারা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ছিলেন, তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, স্মারকলিপির বিষয়ে আমার হাতে এখনো কোনো কাগজ আসেনি। তাই গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এমবি