Logo

সারাদেশ

সীমান্তে বিএসএফের ভারী অস্ত্রের টহল, আতঙ্কে কৃষকরা

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:০১

সীমান্তে বিএসএফের ভারী অস্ত্রের টহল, আতঙ্কে কৃষকরা

ছবি : সংগৃহীত

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। সীমান্তরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের ভারী অস্ত্রসহ টহল, স্থানীয় কৃষকের কাজে বাধা এবং কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএসএফ সদস্যরা ভারী অস্ত্র নিয়ে শূন্যরেখার কাছাকাছি অবস্থান করছেন। এমনকি মাঝে মাঝে সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগও উঠেছে। সীমান্তে বাঁশঝাড়ের নিচে তাবু টাঙিয়ে তারা প্রহরায় রয়েছেন। 

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা দূরবীন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং স্থানীয়দের উদ্দেশে অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন।

সীমান্তের দহগ্রাম এলাকায় কয়েক হাজার হেক্টর কৃষিজমি রয়েছে। তবে স্থানীয় কৃষকরা জমিতে পরিচর্যা করতে পারছেন না। বিএসএফের তৎপরতায় ভীত হয়ে অনেকেই জমিতে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, ভারতের কৃষকরা নিজেদের জমির পরিচর্যা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দহগ্রামের সীমান্ত থেকে বিজিবির ক্যাম্প প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে হওয়ায় তারা দ্রুত সাড়া দিতে পারছেন না। বিজিবি সদস্যদের অনুপস্থিতিতে স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এক কৃষক বলেন, ‘বিজিবি না থাকায় আমরা সম্পূর্ণ অরক্ষিত। বিএসএফের টহলে আমাদের ভেতরে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। অস্থায়ীভাবে হলেও বিজিবির একটি ক্যাম্প এখানে স্থাপন করলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।’

স্থানীয়দের দাবি, বিএসএফের স্থাপন করা উচ্চ আলোর লাইটের কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করায় কৃষকরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

বিজিবির রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বিজিবি কৃষকদের ফসল পরিচর্যায় বাধা দেয়নি। পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।’ তবে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে বিজিবি সীমান্তে অতিরিক্ত নজরদারি শুরু করবে বলে জানান তিনি।

সীমান্তের দহগ্রামে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সীমান্তে বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর