চাঁদপুরে তীব্র শীতে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৩ দিনে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৬৯৩ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে অর্ধশতাধিক শিশু নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
সদরের বাগাদি ইউনিয়নের গৃহবধূ সামিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার শিশুর বয়স ৪ মাস। ঠান্ডার কারণে তার শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও সমস্যা বেড়ে গেলে হাসপাতালে আসি। এখন অনেকটা সুস্থ।’
অন্য অভিভাবকরা জানিয়েছেন, প্রথমে শিশুদের সর্দি, কাশি ও জ্বর দেখা দেয়। এরপর তা নিউমোনিয়ায় রূপ নেয়। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার পরও সুস্থ না হলে তারা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান জানান, শীতের কারণে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহে কোনো সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা অভিভাবকদের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে শিশুরা ঠান্ডা থেকে নিরাপদ থাকে ও সুস্থ থাকে। তাদের পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখার বিষয়েও যত্নবান হতে হবে।’
ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী, শিশুদের শীত থেকে রক্ষা করতে গরম কাপড় পরানো, ঘরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা এবং শিশুদের শরীর শুষ্ক রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শীতে শিশুদের সুরক্ষায় অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে শিশুদের সুস্থ রাখা সম্ভব হবে।
আলআমিন ভূঁইয়া/এমজে