Logo

সারাদেশ

‘ঋতুর পরিকল্পনায় কক্সবাজারে খুন হন টিপু’

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:২৮

‘ঋতুর পরিকল্পনায় কক্সবাজারে খুন হন টিপু’

কক্সবাজারে পরিকল্পিতভাবে এনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল খুলনার সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুকে। গত ৯ জানুয়ারি রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন হোটেল সিগাল এলাকায় টিপুকে গুলি করেন শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু নামে খুলনার এক যুবক। এ পাপ্পু খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহিদের ভাতিজা। এ হত্যার পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন ঋতু নামের এক নারী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

হত্যার সময় পুরোদমে সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন গোলাম রসুল নামের খুলনার অন্য যুবকসহ কয়েকজন। এ ঘটনার পাঁচদিন পর মৌলভীবাজার থেকে সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার মৌলভীবাজারের জিরি থানাধীন কাপনা পাহাড় এলাকা গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের দেওয়ানা মোল্লাপাড়ার সেলিম আকনের মেয়ে ঋতু (২৪), একই এলাকার মো. জামাল শেখের ছেলে শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মধ্য কারিগর পাড়ার হায়দার সরদার অদুদের ছেলে গোলাম রসুল (২৫)।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, গত ৮ জানুয়ারি ঋতুকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার আসেন গোলাম রব্বানী টিপু। ৯ জানুয়ারি গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যে পুলিশ ঘটনায় জড়িত নারীসহ তিনজনকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারের পর তিনজনের দেওয়া তথ্য মতে কক্সবাজার পৌরসভার কলাতলীর সৈকত বহুমুখী সমবায় সমিতি আবাসিক এলাকার কক্স কুইন রিসোর্ট নামীয় আবাসিক হোটেলের ২০৮ নম্বর কক্ষের চিলেকোঠা হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল। এদের মধ্যে ঋতু নামের নারী কক্সবাজার ঘুরতে এসে কাউন্সিলর টিপুর সঙ্গে হোটেলে উঠেছিলেন।

পুলিশ সুপারের দেয়া তথ্য বলছে, গ্রেপ্তার ঋতু খুলনার দৌলতপুরের সেলিম আকন্দের মেয়ে। তার স্বামী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলর টিপুর সাথে সখ্যতা তৈরি করে পুরো হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন ওই নারী।

মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, গোলাম রব্বানী টিপু দৌলতপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহিদ হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০১৫ সালের অক্টোবরে দৌলতপুর খান এ সবুর রোডে ইসলামি ব্যাংকের সামনে শহিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর পাপ্পু শহিদের ভাতিজা। একাধিক মামলার আসামি পাপ্পুকে শুটার নামে এলাকায় চেনেন। হুজি শহিদ হত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হত্যার একটি কারণ। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন ও অন্যান্য কারণ রয়েছে।

গত ৯ জানুয়ারি রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন হোটেল সিগাল এলাকায় গোলাম রব্বানী টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাবের অভিযানে টিপুর সঙ্গে বেড়াতে আসা কেসিসির আরেক সাবেক কাউন্সিলর শেখ ইফতেখার হাসান সালু ও কক্সবাজারের বন্ধু মেজবাহ উল্লাহ ভূট্টো গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তার সকলকে রিমান্ডের অবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে আদেশ পেলে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এমবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর