Logo

সারাদেশ

টাঙ্গাইল পৌরসভায় অনিয়ম

২০ টাকার ট্যাবলেট ২৪০, লাখ লাখ টাকার ওষুধ গেল কই

Icon

রেজাউল করিম, টাঙ্গাইল

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:০০

২০ টাকার ট্যাবলেট ২৪০, লাখ লাখ টাকার ওষুধ গেল কই

টাঙ্গাইল পৌরসভার নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য বছরে চারবার ওষুধ কেনা হয়। এক অর্থবছরে চার ধাপে এসব ওষুধ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসআর এন্টারপ্রাইজ পৌরসভাকে সরবরাহ করে। এ খাতে বছরে প্রায় ১৫ লাখ টাকার বিল-ভাউচার দিয়ে টাকা উত্তোলন করছে। অথচ প্রতি বছর কেনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওষুধের বিষয়ে জানেন না পৌর নাগরিকরা। বাংলাদেশের খবরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।

সরেজমিনে টাঙ্গাইল পৌরসভায় গিয়ে দেখা গেছে, পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সুভাশীষ চন্দ্র দাস যে কক্ষে বসে অফিস করছেন তার পেছনে একটি আলমারিতে (তাক) কয়েক ধরনের ওষুধ রাখা হয়েছে। কিন্তু নাগরিকদের ওষুধ দেওয়ার জন্য কোনো ফার্মাসিস্ট নেই। কোন রোগে কী ওষুধ দেওয়া হবে সেটাও তিনি জানেন না। 

পৌরসভার স্বাস্থ্য শাখায় কাজ করেন এমন কয়েকজন নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে দরিদ্র গর্ভবতী নারীদের জন্য আয়রন ট্যাবলেট, শিশুদের ভ্যাকসিন ও জ্বর এলে সিরাপ দেওয়া হয়। এছাড়া কোনো ওষুধ পৌরসভা থেকে দেওয়া হয় না।’

কিন্তু পৌরসভা থেকে পাওয়া ২০২০ থেকে ২০২৪ অর্থবছরে উত্তোলন করা বিল ভাউচারের তালিকায় দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। টাঙ্গাইল পৌর কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য এসআর এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ওষুধ কিনেছে এক বছরে চারবার। প্রতি ধাপে প্রায় একই ধরনের ওষুধ সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সরবরাহ করা এসব ওষুধের দাম বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

ক্রয় তালিকায় মিলল যেসব ওষুধ
ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, স্যালাইন, অ্যামোক্সসিলিন সিরাপ ও ট্যাবলেট, প্যারাসিটামল সিরাপ ও ট্যাবলেট, জিংক ট্যাবলেট, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, বায়োডিন, মেট্রো-৪০০, সিপ্রোসিন-৫০০, সার্জেল-২০, পেনট্রোনিক্স-২০, সেকলো-২০, ইএসপি, এরিস্টোভিট-বি, মাইক্রোজেস্ট ১০০, পেটোবেক্স-২০, এলসিট সিরাপ, ইমিস্টেট ট্যাবলেট, ডপাপিরন, ওসার্টিল-৫০।

এছাড়াও রিবোক্লোবিন ট্যাবলেট, বাইরোজারান ট্যাবলেট, ওস্টিও ডি ট্যাবলেট, এইচ সিরাপ, ফ্লাকল সিরাপ, কলিকন সিরাপ, ডিফ্লাক্স সিরাপ, এমব্রোক্স সিরাপ, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট রয়েছে। ক্রয় তালিকায় আর ছিল স্টেথোস্কোপ, থার্মোমিটার, রক্তচাপ পরিমাপ যন্ত্র, ত্বকের সংক্রমণ নিরোধ, প্রসবের জন্য সরঞ্জামাদি, নবজাতকের প্রয়োজনীয় উপকরণ ও মাস্ক ইত্যাদি।

টাঙ্গাইল পৌরসভা থেকে পাওয়া ২০২১ থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিল ভাউচার থেকে দেখা গেছে- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা ওষুধের দাম বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ধরা হয়েছে। এক অর্থবছরে চার ধাপে একই দামে ওষুধ কেনা হয়। 

দেখা গেছে, জ্বরের জন্য ১০০ মিলির ৫০ টাকার প্যারাসিটামল সিরাপ কেনা হয়েছে কেনা হয়েছে ১০০ টাকায়, ৩৫ টাকার এইস সিরাপ কেনা হয়েছে ১৩০ টাকায়, ৪০ টাকার ফ্লাকল সিরাপ কেনা হয়েছে ৭০ টাকায়, ৪০ টাকার কলিকন সিরাপ কেনা হয়েছে ৭০ টাকায়, ২৫ টাকার ডেফলাক্স সিরাপ কেনা হয়েছে ১২০ টাকায়, ৪০ টাকার এমবোক্স ড্রপ কেনা হয়েছে ৭২ টাকায়, ৩৫ টাকার একটি জিংক ট্যাবলেট কেনা হয়েছে ৫৫ টাকায়, ১ টাকা ২০ পয়সা একটি প্যারাসিটামল কেনা হয়েছে ৩ টাকায়, ১৫ টাকার এক পাতা মেট্রো-৪০০ কেনা হয়েছে ৩২ টাকায়, ৬ টাকার খাবার স্যালাইন কেনা হয়েছে ১২ টাকায়। 

এছাড়াও প্রসবকালীন সময়ে ব্যবহৃত ১০ মিলি অক্সিটোসিন ইনজেকশনের বাজার মূল্য ২৫ টাকা সেখানে প্রতিটি ইনজেকশনের মূল্য ধরা হয়েছে ২০০ টাকায়। বাজারে সর্বোচ্চ ২০ টাকার মধ্যে এক পাতা (১০টি) ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট পাওয়া যায়। সেখানে প্রতি পাতা ক্যালসিয়ামের দাম ধরা হয়েছে ২৪০ টাকায়। তিনটি স্টেথোস্কোপ কেনা হয়েছে ২৫ হাজার ৫০০ টাকায়। অথচ বাজারে চায়না ব্রান্ডের স্টেথোস্কোপ ১৮০-৫০০ টাকা ও জাপানি ব্রান্ডের দাম ৩৫০-১০০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। এছাড়াও বাজারে ডিজিটাল থার্মোমিটার ৮০ টাকা পাওয়া গেলেও তিনটি থার্মোমিটার কেনা হয়েছে ২৪ হাজার টাকায়। 

এছাড়াও স্টেথোস্কোপ, থার্মোমিটার, রক্তচাপ পরিমাপ যন্ত্র, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, ত্বকের সংক্রমণনিরোধ, ৪৫টি নবজাতকের প্রয়োজনীয় উপকরণ ও ওয়ানটাইম মাস্ক কেনা হয়েছে বেশি মূল্যে। বাড়তি দাম দেখিয়ে এসব ওষুধ কিনে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সর্বশেষ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দুই ধাপে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা হিসেবে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। একটি বিল উত্তোলন করা হয়েছে তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ১৪ হাজার ও অপরটি ৪ জুন চতুর্থ ধাপে ৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

বাজার দর যাচাই
ওষুধের তালিকা নিয়ে স্থানীয় খুচরা ও পাইকারি ওষুধ বিক্রেতাদের সাথে দাম যাচাই করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, পৌরসভার কেনা প্রত্যেকটি ওষুধের দাম অনেক বেশি। খুচরা মূল্যের ওষুধের বিপরীতে পৌরসভার কেনা ওষুধের দাম কয়েকগুণ বেশি। বিশেষ করে একটি ক্যালসিয়াম ওষুধের ট্যাবলেট কেনা হয়েছে ২৪০ টাকায়। যা বাজারে এক টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। 

বিনামূল্যের ওষুধ পায় না কেউ
টাঙ্গাইল পৌরসভার এনায়েতপুর, বৈল্ল্যা, সাবালিয়া, পাওয়ার হাউজ, কাইয়ামারা, বাজিতপুর, আদি টাঙ্গাইল, আকুর-টাকুরপাড়া, বিশ্বাস বেতকা, আশিকপুর, আদালতপাড়া, থানাপাড়া, কাগমারী, কোদালিয়া, কলেজপাড়া এলাকায় স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। পৌরসভা থেকে যে ওষুধ পাওয়া যায় তারা সেটাই জানতেন না।

স্থানীয়দের দাবি, পৌরসভা থেকে ওষুধ দেওয়া হয় সেটা জানা ছিল না। ওষুধ যদি কিনে থাকে তাহলে সেটা তারাই ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে। জনগণ কিছু পায়নি।

পৌরসভার আদি টাঙ্গাইল মাঝিপাড়া গ্রামের অটোভ্যান চালক আকবর হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬০) দীর্ঘ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে  ভুগছেন। প্রতিদিই তাকে বিভিন্ন ওষুধ খেতে হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে দরকার পড়ে নেবুলাইজারের। অভাবের সংসারে ওষুধ কিনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় স্বামী আকবর হোসেনের। অথচ তিনি বা তার মতো অনেকে জানেনই না যে পৌরসভা থেকে এসব সেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। 

মনোয়ারা বলেন, ‘স্বামীর উপার্জনের প্রায় সব টাকাই খরচ হয়ে যায় ওষুধ কিনতে। পৌরসভায় ওষুধ পাওয়া যায় জানতাম না। কেউ কোনো দিন এই বিষয়ে বলেনি। যদি সত্যি সত্যি পৌরসভা ওষুধ থেকে দিতো, তাহলে গরীব মানুষের জন্য খুবই উপকার হতো।’

বাজিতপুর এলাকার শামছুর রহমান মিলন বলেন, ‘পৌরসভা থেকে স্বাস্থ্যসেবা হিসেবে ওষুধ সামগ্রী দেওয়া হয় সেটাই তো জানি না। আমার আশপাশের কোনো মানুষই মনে হয় না ওষুধ পেয়েছেন। পৌরসভার কর্মকর্তারাই ওষুধ কেনার নামে টাকা লুটপাট করেছেন। যারা গরিবের হক মেরে খেয়েছেন, তাদের বিচার হওয়া দরকার।’

এনায়েতপুর এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, ‘অনেকেই রয়েছেন যাদের ওষুধ কেনার দরকার, কিন্তু টাকার অভাবে কিনতে পারছেন না। তারাও হয়ত জানেন না পৌরসভায় বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়। পৌরসভায় এ ধরনের সেবা রয়েছে সেটা জনগণকে অবহিত করলে অবশ্যই মানুষ সেবা পেত।’

টাঙ্গাইলে বস্তি উন্নয়ন ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন’। এর প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেন, ‘পৌরসভায় টিকা কার্যক্রম, মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে পরামর্শ বা উঠান বৈঠক করে জানি। কিন্তু বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয় সেটা জানি না। আপনার কাছ থেকেই প্রথম জানতে পারলাম এরকম সেবার কথা।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কারা এই ওষুধ পায় জিজ্ঞাসা করে তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইলে ১৪ বছর ধরে বস্তির হতদরিদ্র ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। কোনো দিন জানতে পারিনি পৌরসভা থেকে নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধপত্র বা স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে। তাহলে কে পায় এই ওষুধ। পৌরসভায় গিয়ে দেখেছি অনেক মানুষজন চিকিৎসা বা ওষুধ কেনার জন্য এসেছেন। কিন্তু পৌরসভার কেউ বলেনি এখানেই পাওয়া যায় ওষুধ। টাঙ্গাইলে চারটি বস্তি রয়েছে তাদের অনেকেই ওষুধ কিনতে পারেন না টাকার অভাবে। নিজেরাই যেহেতু জানি না সেহেতু নিম্ন আয়ের মানুষজন কীভাবে জানবে এই সেবার কথা।’ 

কাজীর গরু, কেতাবে আছে গোয়ালে নেই
নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে টাঙ্গাইল পৌরসভার এক কর্মকর্তারা বলেন, ‘সাবেক মেয়রকে ব্যবহার করে সুভাশীষ একবার ওষুধ কিনে সেগুলো বারবার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকার বিল উঠিয়েছেন। এই টাকার ভাগ মেয়রও পেয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। এক বছরে চারধাপে ওষুধ কেনা হয়েছে। এতে এক অর্থবছরে প্রায় ১৪ লাখ টাকার ওষুধ কেনা হয়। যা সবই খাতা-কলমে।’

পৌরসভার ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসেবার কাজ করেন পৌরসভার স্বাস্থ্য শাখার সমাপ্তি। তিনি বলেন, ‘দরিদ্র গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের জন্য শুধু আয়রন ট্যাবলেট দেওয়া হয়। শিশুদের ভ্যাকসিন ও জ্বর এলে নাপা দেয়া হয়। এছাড়া শিশুদের ওজন মাপা ও টিকা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য শাখায় এর বাইরে কোনো স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ বা সেবা দেওয়া হয় না।’ 

পৌরসভার ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মী সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করি। ইপিআইয়ের কাজ করি। কখন কী ওষুধ আসে সেটা জানি না।’

পৌরসভার স্বাস্থ্য শাখার (ইপিআই) সুপারভাইজার নাজমুল হাসান তন্ময় বলেন, ‘ওষুধের বিষয়ে পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তাই জানেন কি ওষুধ আছে বা কি ওষুধ কেনা হয়। তিনি একাই স্বাস্থ্য শাখার ওষুধপত্র কেনেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়েও আমার কোনো ধারণা নেই।’

সুভাশীষ যা বললেন
টাঙ্গাইল পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সুভাশীষ চন্দ্র দাস বলেন, ‘নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার আওতায় প্রতি অর্থবছর বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কেনা হয়। এই ওষুধগুলো মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হয় না। পৌরসভা কার্যালয়ে কেউ এলে তাদেরকে ওষুধ দেওয়া হয়। এখানে কোনো ফার্মাসিস্ট না থাকায় আমি নিজে ও অফিসের কর্মচারীরা এসব ওষুধ বিতরণ করেন।’ 

কোন রোগের কী ওষুধ দেওয়া হয়- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যার যে ওষুধ প্রয়োজন সেটার নাম বলে নিয়ে যায়।’

ওষুধ বিতরণের কোনো রেজিস্টার আছে কিনা জানাতে চাইলে সুভাশীষ বলেন, ‘রেজিস্ট্রার আছে। তবে সেটি ড্রয়ারে তালা দেওয়া। আর কোনো তথ্য দিতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া দেওয়া সম্ভব না।’

ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ
টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহওনেয়াজ পারভীন বলেন, ‘পৌরসভার স্বাস্থ্য শাখাটি আমার আওতায় না। সুভাশীষ নিজেই সব সেখানকার। কি দামে ওষুধ কেনা হয়েছে বা বাজার মূল্যের থেকে বেশি কিনা সেটাও জানি না। তবে মনে হচ্ছে কেনা ওষুধের দাম বাজার মূল্যের বেশি। আমি নিজেও ক্যালসিয়াম কিনে খাই। কিন্তু সেটার দামও এতো না।’

টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জেলার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) শিহাব রায়হান বলেন, ‘পৌরসভা থেকে ওষুধ দেওয়া হয় কিনা সেটা আমার জানা নেই। ওষুধ কেনার বিষয়টিও আমার দায়িত্বের সময়ে হয়নি। তবে অনিয়মের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

রেজাউল করিম/ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর