বিয়ের ৯ দিন পর প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান মাদ্রাসা ছাত্রী, ফিরিয়ে আনায় আত্মহত্যা

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩০
-678d0c733b9f6.jpg)
ভোলার লালমোহনে বিয়ের ৯ দিনের মাথায় প্রেমিকের সাথে পালিযে যান নুপুর বেগম নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী। পরে ওই প্রেমিকের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নুপুর বেগম ওই গ্রামের সেলিম বেপারীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুপুর স্থানীয় মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। গত ১০ জানুয়ারি তার পরিবার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের প্যারীমোহন গ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছে নুপুরকে বিয়ে দেন। তবে নুপুরের সাথে শান্ত নামে এক সহপাঠীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই কারণে নুপুর গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) স্বামীর বাড়ি থেকে শান্তর সাথে ঢাকা পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে নুপুরের পরিবার ঢাকা থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে রোববার সকালে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার পর সকলে বুঝিয়ে চাচা বেল্লালের ঘরে নিয়ে চাচির কাছে রাখেন নুপুরকে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চাচির ঘরেই আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন নুপুর। কিছু সময় পর ঘরে ঢুকে তাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দেন তার মা। চিৎকার শুনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে সেখান থেকে নুপুরকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তবে পথিমধ্যেই মারা যান নুপুর।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ওই টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এস মেজবাহ/এমজে/ওএফ