৫০ হাজার মানুষের জন্য বরাদ্দ দুই টন চাল
লামা (বান্দরাবন) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৪
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বান্দরবানের লামা পৌরসভায় ৫০ হাজার মানুষের জন্য প্রতি সপ্তাহে বরাদ্দ মাত্র দুই টন ওএমএস চাল। সরকারের ওএমএস কেন্দ্রে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হয় অসংখ্য নিম্ন আয়ের মানুষকে। চাহিদার তুলনায় ওএমএস চালের বরাদ্দ খুবই স্বল্প হওয়ায় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওএমএস কেন্দ্রের চালের জন্য এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে সাধারণ দরিদ্র মানুষকে। পাহাড়ি ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চল বিবেচনায় ওএমএস চালের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য খাদ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
জানা গেছে, লামা পৌরসভায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। তবে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে সরকারের ন্যায্য মূল্যের (ওএমএস) কেন্দ্র রয়েছে ছয়টি। সপ্তাহে ৫ দিনে প্রতিদিন দুই মে. চাল দুটি কেন্দ্রে বিক্রয় করা হয়। যার কারণে কেউ পায়, আবার কেউ খালি হাতে ফিরে যায়।
ছোট নুনার বিল পাড়ায় পলি দাস (৪০), লাইন ঝিরি ছরোয়ার উদ্দিন (৩৮) ও লামা মুখ এলাকায় উথোয়াই মার্মা (৩০) বলেন, ‘বর্তমানে চালের মূল্য বেশী। ওএমএস কেন্দ্রে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। বাজার থেকে উচ্চ মূল্যে চাল কিনে খাওয়া আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।’
লামা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায়, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ চাল পাচ্ছেন না। কেন্দ্রে এসে বেশিরভাগ মানুষ চাল না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। বাজার থেকে চাল কিনতে নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলো হিমশিম খাচ্ছে।’
লামা পৌরসভার সাবেক মেয়র আমির হোসেন জানান, ‘পাহাড়ি এলাকায় চালের সংকট এমনিতেই বেশি। তাছাড়া এলাকায় গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যাও বেশী। সরকার ‘ওএমএস’র যে বরাদ্দ দিচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।’
লামা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. সেলিম হেলালী বলেন, ‘সরকার এ পৌরসভার জন্য প্রতিদিন ২ মে.টন ওএমএস‘র চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। তবে চালের যথেষ্ট চাহিদা আছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।’
এ বিষয়ে লামা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেব বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে আমি জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলে বরাদ্দ বাড়ানো যায় কিনা চেষ্টা করব।’
বেলাল আহমদ/এমআই