ভুক্তভোগীদের অভিযোগ
সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরও চোর শনাক্ত করছে না পুলিশ

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৩
-67962dd441423.jpg)
কুমিল্লা নগরে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গন্ধমতি এলাকায় একই রাতে ৭টি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরও চোরদের শনাক্ত করছে না পুলিশ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, গন্ধমতি এলাকার জহিরুল ইসলাম বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়ারা, শ্রতি, হাজী ভিলার পেশনের নাজমার বাসা, গন্ধমতি কয়েকটি মেসসহ ৭ জনের বাড়িতে চুরি হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, গ্রামের লোকজন যে যার মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আবার কেউ দিনে অফিসে ও বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংঘবদ্ধ চোর চক্র ঘরে ঢুকে নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, দামি পোশাক ও কাগজপত্র নিয়ে যায়।
গন্ধমতি এলাকার জহিরুল ইসলাম বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়ারা বলেন, ‘আমি আমার বাচ্চাকে স্কুলে পাঠিয়ে আমি ও আমার স্বামী কর্মক্ষেত্রে চলে যাই এই সুযোগে ঘরের তালা কীভাবে খুলে ঘরে গিয়ে সব স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে গেছে চোরচক্র।’
পুলিশের তৎপরতার অভাব রয়েছে বলে জানান তিনি। সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরও চোরদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সিসিটিভির ক্যামেরায় ওই চোরকে দেখা যায়। এখনো ওই চোরকে পুলিশ প্রশাসন শনাক্ত করতে পারেনি। যা আমাদের জন্য আতঙ্কের।’
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ওই গ্রামের শ্রুতিদের পরিবার। তার বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে চোরচক্রটি। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি ওই এলাকা থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়েছে চক্র।
নাজমা নামের এক নারী বলেন, ‘দিনে-রাতে পুরো গন্ধমতিতে চুরির ঘটনায় সকলের মাঝে বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাদের ব্যবসার মূলধন হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চিন্তিত অনেকেই।’
একই গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল বলেন, ‘প্রতিটি বাড়ির তালা ভেঙে ও নকল চাবি দিয়ো তালা খুলে ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা-পয়সা, দামি পোশাক ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে বাড়িতে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত বছরেও এ এলাকায় ১২টি বাড়িতে চুরি হয়েছিল। যার এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক সঙ্গে এতগুলো বাড়িডে চুরির ঘটনা হয়েছে তা জানা নেই। তবে দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমজে