-(24)-67974f3bb0cc1.jpg)
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অপরিচ্ছন্নতা দূর করতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে জেলা প্রশাসন, বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও টুরিষ্ট পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন (পর্যটন সেল)। অভিযানে সৈকতের লাবনী বীচ, সুগন্ধা বীচ ও কলাতলী বীচে অবৈধভাবে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা চালানো শতাধিক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করা হয়।
বৈধ কার্ডধারী ব্যবসায়ীদের আড়ালে একাধিক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এদের মাধ্যমে পান, সিগারেট, চা-কফি, পানি, ঘোড়া, টিউব ও কিটকটসহ অনুমোদনহীন ব্যবসা চলছিল। বৈধ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ১০টি ভ্রাম্যমাণ দোকানের অনুমতি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ২০টি দোকান।
অভিযানের সময় সৈকত থেকে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ হকার, ঘোড়ার ভাড়াটিয়া ও অন্যান্য বিক্রেতারা পালিয়ে যায়। এ সময় অনিবন্ধিত ও ঝুঁকিপূর্ণ টিউব ভাড়ার অভিযোগে কয়েকটি টিউব ধ্বংস করা হয়।
অভিযানের ফলে সৈকতের সৌন্দর্য ফিরে আসায় পর্যটকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন জানান, পর্যটকদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অনিয়ম ও প্রতারণার কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযানে কিছু মালামালও জব্দ করা হয়েছে।
অভিযান পরবর্তী পর্যটক ও স্থানীয় সুশীল সমাজ আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকে। তবে সৈকত পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকবে এবং সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। এতে কক্সবাজারের পর্যটন গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এমবি