Logo

সারাদেশ

ফুলকপি যেন কৃষকের গলার কাঁটা

Icon

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:০০

ফুলকপি যেন কৃষকের গলার কাঁটা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নীলফামারীতে ফুলকপি ও পাতাকপির দাম এতটাই কমেছে যে, ক্ষেতের ফসলই এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষেত থেকে প্রতি পিস কপি মাত্র ২ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। ভ্যানে করে ঘুরে সেই কপি ৩ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার নীলফামারীতে ১,০১৭ হেক্টর জমিতে কপির চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ভালো ফলন হলেও মৌসুমের শেষদিকে এসে বাজারে কপির ব্যাপক দাম কমে গেছে। যেখানে মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা ও পাতাকপি ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে এখন প্রতি পিস মাত্র ২-৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এতে উৎপাদন খরচ না ওঠায় অনেক কৃষক ক্ষেতে কপি ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ কেউ গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছেন কপি। সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরি গ্রামের কৃষক রতন রায় জানান, তিনি ৩২ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। সার, সেচ, চারা ইত্যাদির পেছনে ১২ হাজার টাকা খরচ হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা লোকসান হবে তার।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারী জেলা শহরের ডাইলপট্টি এলাকায় ভ্যানে করে কপি বিক্রি করছিলেন ব্যবসায়ী রাফি। তিনি জানান, ২ টাকায় কপি কিনে ৩ টাকায় বিক্রি করছেন। স্বল্প মূল্যের কারণে অনেকেই একসঙ্গে ৮-১০টি কপি কিনছেন, কেউ খাওয়ার জন্য, কেউবা গবাদিপশুর জন্য।

সদরের ককই সহদেব বড়গাছা এলাকার কৃষি শ্রমিক মোনতাজ আলী বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে বেশি দামের কারণে ফুলকপি কিনতে পারিনি। আজ ২৪ টাকায় ৮টি কপি কিনেছি। কিছু নিজের জন্য, কিছু গরু-ছাগলকে খাওয়াবো।’

নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে, তবে মৌসুমের শেষ দিকে এসে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকরা লোকসানে পড়েছেন।’

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চাষ বেশি হওয়ায় বাজারে কপির সরবরাহও বেড়েছে, ফলে দাম পড়ে গেছে। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না।’

তৈয়ব আলী সরকার/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর