গাছে গাছে আমের মুকুল, আগাম আসায় চাষির মুখে হাসি

এম এ রাজ্জাক, নওগাঁ
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:০২

নওগাঁর সাপাহার, পোরশা নিয়ামতপুর, মান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলার গাছে গাছে উঁকি দিতে শুরু করেছে দৃষ্টিনন্দন আমের মুকুল। গাছে গাছে মৌমাছির গুঞ্জন আর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতিতে সৃষ্টি হচ্ছে এক নতুন ছন্দের।
সরেজমিনে জেলার আম চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আম গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। আগাম মুকুল আসায় আম চাষিরা খুশি। মাঘের হিমেল হাওয়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে মুকুল। গাছের কচি শাখা-প্রশাখায় ফোটা ফুলগুলোর উপরে সূর্যের আলো পড়তেই চিকচিক করে উঠছে।
এবার মধ্য জানুয়ারিতেই কিছু কিছু গাছে আমের মুকুল চলে এসেছে। এখন ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া না হলেই ভালো হয় বলে জানান আম চাষিরা।
নিয়ামতপুর টিএলবি বাতপাড়া গ্রামের আম চাষী ও বিশিষ্ট আম বাগান মালিক ডা. নরুল ইসলাম বলেন, এর মধ্যে অনেক গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে, ফাল্গুন মাসের মধ্যে উপজেলার আম গাছগুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল আসবে। তবে এ সময় মাঝে-মধ্যেই আকাশে মেঘ জমে উঠে। শিলাবৃষ্টি হলে মুকুলের ক্ষতি হবে। তাই আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কাও কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি।
বাগান মালিকরা বলেন, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে মুকুল রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় বর্তমানে ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে।
তবে এখন আম গাছে, ইমিডা ক্লোরোফিল অথবা ম্যানকোজেব স্প্রে করতে হবে। ম্যানকোজেব, মনুবর বোরণ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এম এ রাজ্জাক/ওএফ