Logo

সারাদেশ

বিদেশি সবজি চাষে লাভের আশা

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১১

বিদেশি সবজি চাষে লাভের আশা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার টংগুয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মকবুল হোসেন। উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে এই সবজি চাষ করেছেন তিনি। শুধু মকবুলই নন, তার মতো আরও ছয়জন কৃষক একইভাবে স্কোয়াশ চাষ করেছেন।

কৃষক মকবুল হোসেন জানান, স্কোয়াশ চাষে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে প্রতি পিস স্কোয়াশ ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই তার মূলধন উঠে আসতে সাহায্য করেছে। তিনি আশাবাদী, এই চাষ থেকে ভালো লাভবান হবেন।  

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, মকবুল হোসেন নিজেই তার স্কোয়াশ ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন তার ছোট ভাই। ক্ষেতজুড়ে সবুজ লতায় ঝুলছে স্কোয়াশ, যা দেখতে অনেকটা শসার মতো, তবে এর লতা কুমড়ার লতার মতো। প্রতিটি স্কোয়াশের ওজন দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হতে পারে।  

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের’ সহযোগিতায় প্রদর্শনী করা হয়েছে। শীতকালীন সবজি হিসেবে চাষাবাদের জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের বীজ বপন করতে হয়। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরে জমিতে এ বীজ রোপণ করা হয়। বীজ রোপণের অল্প দিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস।

মকবুল হোসেন বলেন,‘এবার মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ লাগিয়েছি, ফলন ভালো হচ্ছে। আগামী মৌসুমে আরও বেশি করে চাষ করব। আশেপাশের কৃষকরাও এটি দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন।’  

ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এসএম ফারুক আহমেদ  বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। স্কোয়াশ চাষের ভালো ফলন দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।’  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘স্কোয়াশ চাষে কৃষক মকবুল হোসেনের সফলতা দেখে আমরা বেশ আশাবাদী। এ অঞ্চলে এটি একটি লাভজনক সবজি হতে পারে।’

স্কোয়াশ চাষের এই সাফল্য ভবিষ্যতে আরও অনেক কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে স্কোয়াশ চাষ সম্প্রসারণ করা সম্ভব।

এটিআর/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর