বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে জলদস্যুদের হামলা, ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:০৩

পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এফবি মা নামের একটি ফিশিং ট্রলারে জলদস্যুদের হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে পায়রা বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জলদস্যুদের গুলিতে আহত জেলেরা হলেন, জালাল শরীফ (৫৫), মো. শাহআলম (৪৫), মিজানুর রহমান (২৫)। তাদের বাড়ি মহিপুর থানার বিভিন্ন গ্রামে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে জালাল শরীফের অবস্থা সংকটপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরণ করেন। বাকি দুজন কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জালাল শরীফের ডান চোখে গুলি লেগেছে, বাকি দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।
এফবি মা ট্রলারের মাঝি সরোয়ার হোসেন জানান, ১৩ জন জেলে নিয়ে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যান। তীরে ফেরার পথে পায়রা বন্দর এলাকায় পৌঁছালে একদল জলদস্যু তাদের ট্রলারে বন্দুক দিয়ে ছররা গুলি চালায়। তাদের গুলিতে ট্রলারে থাকা ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় বাকি জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ইলিশ, ১২ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, জ্বালানি তৈলসহ আনুষাঙ্গিক প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
পরে তারা প্রাণ ভিক্ষা এবং ট্রলারটি না নেওয়ার অনুরোধ জানালে দস্যুরা মালামাল নিয়ে চলে যায়। ফেরার সময় এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় দস্যুদল।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মহিপুর মৎস্য বন্দরে এসে ট্রলার মালিককে বিষয়টি অবগত করেন।
এ বিষয়ে মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, ‘এফবি মা নামের একটি ট্রলারে জলদস্যুদের ডাকাতির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছি।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
জাকারিয়া জাহিদ/এমজে