যাত্রীবেশে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেন তারা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৮

ছবি : বাংলাদেশের খবর
যাত্রী সেজে প্রাইভেটকারে তুলে অপহরণ, মারধর ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে এক সংঘবদ্ধ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় অপরাধে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরগুনার পাথরঘাটা এলাকার মো. আব্দুল কাদিরের ছেলে মো. শাহাদত হোসেন (৪৬), আব্দুস সালাম (৪৫), শেরপুরের বাখেরকান্দা এলাকার মৃত ফকির আলীর ছেলে মো. শিখন আলী (২০) ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সোনাপুর এলাকার মৃত ইসাক আলীর ছেলে মো. আবু তাহের (৩৫)।
পুলিশ জানায়, এ চক্রটি গাজীপুর, মাওনা, শ্রীপুর ও ময়মনসিংহ বাইপাস এলাকা থেকে সাধারণ যাত্রীদের কৌশলে প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। এরপর মারধর করে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পাশাপাশি হত্যার ভয় দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে। মুক্তিপণ না পাওয়া পর্যন্ত ভিকটিমকে গাড়িতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়।
এ ধরনের একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি ত্রিশাল, গফরগাঁও, মাওনা ও শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুল ইসলাম জানান, চক্রের মূল হোতা শাহাদত হোসেন প্রায় আট বছর আগে মাওনা বাসস্ট্যান্ডে প্রাইভেটকার চালক অবস্থায় এ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় একই কৌশলে ৫০টিরও বেশি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এর আগে তিন দফায় প্রায় দুই বছর কারাভোগ করেছেন শাহাদাত। সর্বশেষ কাশিমপুর কারাগারে আটক থাকা আবু তাহেরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তারা আবারও অপহরণ চক্র চালু করে। শাহাদতের বড় ভাই সালাম ও আত্মীয় শিখনও এ কাজে যুক্ত ছিল।
পুলিশ জানায়, চক্রটির আরও ছয়জন সক্রিয় সদস্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাজমুস সাকিব/এমবি