বাংলাদেশি চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:১২

ছবি : বাংলাদেশের খবর
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ায় চারজন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
জেলেরা হলেন- টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা নৌকার মাঝি মো. হাছান (৩০), আবদুর রকিম (২০), মো. জাবের (২৬), হাছান (১৬)।
জানা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের শাহ্পরীর দ্বীপের গোলারচর মুখ এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।
এদিকে আরাকান আর্মি কর্তৃক অপহরণ হওয়া জেলেদের বরাতে টেকনাফ শাহ্পরীর দ্বীপের দক্ষিণ নৌ-ঘাটের সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, ‘সকালে প্রতিদিনের মতো নাফ নদে মাছ শিকারে গেলে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে যায়। ঘটনাটি বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’
বিজিবি জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের দ্রুত ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তাদের ফেরত আনতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
এর আগে, গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যান। তাদের ৯ অক্টোবর অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
এ ছাড়া সব শেষ ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এমআই