কিশোরগঞ্জে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষক পলাতক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:১৫
-67ab5b7931495.jpg)
কিশোরগঞ্জে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. দিদার (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা। অভিযুক্ত যুবক মো. দিদার (২২) পৌর শহরের নগুয়া বাসস্ট্যান্ডে এলাকার মৃত ময়না মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। ভুক্তভোগী ওই শিশু স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় কেজি শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। অভিযুক্ত যুবক দিদারের নামে মামলা থাকায় তার পিতার অপর একটি বাসা ভুক্তভোগী শিশুর বাসার পাশে হওয়ায় সেখানে একা আত্মগোপনে থাকেন।
এই সুযোগে গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শিশুটি খেলা করার সময় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে খালি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার ফলে রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় পরিবারের লোকজনকে না বলার জন্য শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। বাসায় এসে প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরাতে থাকে শিশু। বিষয়টি বুঝতে পেরে শিশুটির মা লক্ষ্য করলে শরীরে রক্তের দাগ দেখতে পান। পরক্ষণেই প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ দেখে শিশুর সাথে কথা বলে ধর্ষণের বিষয় জানতে পারেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুর পিতা বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানির চাকরির সুবাদে নগুয়া এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছি। দিনের বেশি সময় বাসার বাহিরে থাকতে হয়। আমার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে বাসায় থাকেন। প্রতিদিনই বিকেলে মেয়েটি অন্য শিশুদের সাথে খেলাধুলা করে। কিন্তু সোমবার দিনের এই ঘটনা কিছুতেই মানতে পারছি না। আমার বাড়ি নড়াইলে এখানে আপনজন কেউ নেই। আমার শিশু মেয়েটিকে কি অপরাধে এমন করলো জানি না। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি। বিচার পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার রাতে অভিযুক্ত দিদারের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পুলিশের উপস্থিতি দেখে সে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগীর পিতা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আব্দুর রউফ ভুঁইয়া/এমএইচএস