
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় নিজ ঘর থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় রানা মন্ডল (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শড়াতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তবে স্বজনদের দাবি, ওই যুবকের স্ত্রী বালিশচাপা দিয়ে তাকে হত্যা করেছেন। পরিবারের অভিযোগ থাকায় এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রানা মন্ডলের স্ত্রী শম্পা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, রানা ওই গ্রামের মঈনুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। তিনি গ্রামে একটি চায়ের দোকানের কাজের পাশাপাশি কৃষিকাজ করতেন।
রানার মা পারভিনা খাতুন বলেন, কয়েকদিন ধরে পুত্রবধূ শম্পার সঙ্গে রানার মনোমালিন্য চলছিল। তার ছেলে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়াও করত না। রোববার দুপুরের আগেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।
তার অভিযোগ, ঝগড়ার পরে ছেলে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় তার স্ত্রী বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুঁলিয়ে রাখে।
রানার বাবা মাঈনুদ্দিন মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, বনিবনা না হওয়ায় আমার ছেলেকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছে পুত্রবধূ শম্পা। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। আমরা এর বিচার চাই।
সদর মন্ডল নামে এক প্রতিবেশি জানান, রানা এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। গ্রামে একটি চায়ের দোকান ছিল তার। এছাড়া সে কৃষিকাজও করতো। স্ত্রীর সঙ্গে তার বেশকিছুদিন ধরে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো।
হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে ওই যুবকের স্ত্রী শম্পা খাতুন দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। পরে খবর পেয়ে অন্যদের সঙ্গে ঘরে গিয়ে স্বামীকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আড়ায় ঝুলে থাকতে দেখেন।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান বলেন, খবর পেয়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এম বুরহান উদ্দীন/ওএফ