
ঠাকুরগাঁওয়ে সুমাইয়া আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
নিহতের বাবা এজাবুল হক অভিযোগ করেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তারের তিন বছর আগে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার সেলিমের ছেলে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের এক সন্তান রয়েছে।
এজাবুল হক বলেন, আমার মেয়েকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর তাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যেন এ হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালানো যায়। আমাকে ছেলের পরিবার থেকে এ ঘটনা বাড়াবাড়ি না করার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং মীমাংসা করতে বলছে। কিন্তু আমি বিচার চাই।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) জানান, সুমাইয়া আক্তারকে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনরা বলেছিলেন, তিনি গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মেঝেতে শোয়া অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ তোলা হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসি জানান, নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আবু সালেহ/এমবি