বাগেরহাটে মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার ‘গুজব’

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৭
-67bca2980f6f3.jpg)
বাগেরহাট কামিল আলিয়া মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পুলিশ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
ফেসবুকে এমডি মাহমুদ হাসান এবং এমডি হাসান শেখ রাকিব নামের দুই ব্যক্তি এই বিভ্রান্তিকর তথ্য শেয়ার করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে পুলিশের একটি দল মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে গেলেও কোনো প্রমাণ মেলেনি। প্রশাসন বলছে, একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুজব ছড়িয়ে এলাকার শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর ঘটনায় স্থানীয় ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাদশা সেখ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমরা অনেকটাই ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু কোনটি সত্য আর কোনটি গুজব, তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
একইভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারী নাহিদা ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের গুজব মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। সঠিক তথ্য যাচাই না করে কেউ যেন এমন বিভ্রান্তিকর পোস্ট না দেয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
এ বিষয়ে বাগেরহাট কামিল আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম শেখ বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত।’
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়েছি, কিন্তু এ ধরনের কোনো ঘটনার সত্যতা পাইনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
- শেখ আবু তালেব/এমজে