শহীদ মিনার অবমাননা, ২ শিক্ষার্থীর শাস্তি ‘স্কুল পরিষ্কার করা’

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৫
-67bcb2747a95c.jpg)
গাজীপুরের শ্রীপুরে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাতফেরীর পর লাথি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই দুই শিক্ষার্থীকে শাস্তি হিসেবে প্রতিদিন স্কুল পরিস্কার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর শাস্তি হিসেবে এ দায়িত্ব আরোপ করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাতফেরীর পর লাথি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার ভাঙার একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। লাথি দিয়ে শহীদ মিনার ভেঙে ভাষা শহীদদের অসম্মানকারী অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান একাধিক মহল।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। ওই আলোচনা মধ্যস্থতা করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ। আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত ২ শিক্ষার্থী মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিকভাবে স্কুলে এসে যথাসময়ে নির্ধারিত ক্লাসে অংশ নেবে। তবে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর আগে তাদের বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হবে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, ‘ওই দুই শিক্ষার্থীর বয়স কম হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্কুলের পক্ষ থেকে তাদের ওপর এই মানবিক শাস্তি আরোপ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাতফেরীর পর গাজীপুর মডেল পাবলিক স্কুলে অস্থায়ী শহীদ মিনার লাত্থি দিয়ে ভাঙার ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলের দুই ছাত্র এ ঘটনা ঘটায়। স্কুলটি শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে অবস্থিত। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত তাদের সামাজিক শাস্তির আওতায় আনা হয়।
এমজে