Logo

সারাদেশ

শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে বিএনপি নেতা খুন, আহত ২

Icon

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৫

শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে বিএনপি নেতা খুন, আহত ২

শেরপুরে আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস জাকারিয়া বাদলকে (৪৭) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ বাজার এলাকায় মাদ্রাসার সামনে এই ঘটনা ঘটে। 

নিহত জাকারিয়া বাদল সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস ছিলেন। তিনি ভীমগঞ্জের বাসিন্দা। 

আহতরা হলেন, একই এলাকার সোহাগ (৩৫) এবং রাহুল। সোহাগের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাকারিয়া বাদলের স্বজন এবং ছাত্রদল কর্মী রমজান আলী জানান, আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বাদলের বিরোধ চলছিল। এছাড়া, একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ নেতা নূরে আলমের সাথেও বাদলের দ্বন্দ্ব ছিল। সম্প্রতি, বাদলকে সায়েস্তা করার জন্য শেরপুর জেলা কারাগারে আটক কৃষকলীগ নেতা নূরে আলমের সঙ্গে দেখা করেন লুৎফর। এরপর তারা নূরে আলমের অনুসারীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে বাদলকে সায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। 

মঙ্গলবার বিকালে, জাকারিয়া বাদলসহ তিনজন একটি মোটরসাইকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, যখন ওৎ পেতে থাকা নূরে আলম ও লুৎফরের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাদলসহ তিনজনকে দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বাদল ও সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাতে অবস্থার অবনতি হলে সংকটাপন্ন অবস্থায় বাদলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তরা এলাকায় গেলে তার মৃত্যু হয়। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।

শাহরিয়ার শাকির/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর